রাজ্য বাজেটে গুরুত্ব পাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের কথা

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভার ভোট। তার আগে বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ হবে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবারই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করার সুযোগ পাবে। আগামী বছর হবে ভোট অন অ্যাকাউন্টস। রাজ্যের সাধারণ মানুষ, পিছিয়ে থাকা মানুষ এসসি, এসটি এবং সংখ্যলঘু মানুষের মন জয়ের চেষ্টার প্রতিফলন এই বাজেটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট যে ভাবে মোদি সরকার বা বিজেপিকে দিল্লি জয়ে সাহায্য করেছে সেইভাবে এবারের রাজ্য বাজেটেও সে রকমই প্রয়াস থাকতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন রাজ্যে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে এবার আরও ৫০০ টাকা বাড়ানো হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায়ও একই রকম ইঙ্গিত দিয়েছেন।তিনি বলেন,ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অভিমুখ ছিল ডাউন টু আর্থ। মানে পিছিয়ে থাকা মানুষের আর্থিক উন্নয়ন। শোভনদেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন পিছিয়ে থাকা মানুষের আর্থিক উন্নয়ন না হলে সামগ্রিক ভাবে রাজ্য এগোতে পারবে না। তাই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই পিছিয়ে থাকা মানুষের উপকারের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তিনি দাবি করেন মমতা বন্দোপাধ্যায় এগিয়ে বাংলার যে শ্লোগান তুলেছেন, তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছেন। নিজের কৃষি দফতরের উদাহরণ দিয়ে শোভনদেবের দাবি, ২০১১ সালের আগের চেয়ে এই ক্ষেত্রে রাজ্য অনেক এগিয়েছে। তিনি বলেন এ রাজ্যের কৃষকদের আয় দেশের অনেক বড় বড় রাজ্যের চেয়ে বেশি।