অদৃষ্ট

অমৃত কথা

তোমার দর্শনের জ্ঞানের পাল্লা যতটুকু, অদৃষ্ট ঠিক তার আগে। দেখতে পাচ্ছ না জানতে পাচ্ছ না–তাই অদৃষ্ট। তোমার শয়তান অহংকারী আহাম্মক ‘আমি’ টাকে বের ক’রে দাও, পরম পিতার ইচ্ছায় তুমি চল, অদৃষ্ট কিছুই করতে পারবেনা। পরমপিতার ইচ্ছাই অদৃষ্ট। তোমার সব অবস্থাতেই তাঁর মঙ্গল–ইচ্ছা বুঝে’ সেইদিকেই বাস্তব ভাবে চলতে থাক–দেখবে কাতর হবে না, বরং সরলতা আসবে, দুঃখেও আনন্দ পাবে। কাজ ক’রে যাও অদৃষ্ট ভেবে ভেঙে প’ড়ো না, আলসে হ’য়ো না। যেমন কাজ করবে, তোমার অদৃষ্ট তেমনি হ’য়ে দৃষ্ট হবে। সৎ–কর্মীর কখনো অকল্যাণ হয় না– একদিন আগে আর পাছে। পরমপিতার দিকে তাকিয়ে কাজ ক’রে যাও। তাঁর ইচ্ছাই অদৃষ্ট, তা’ছাড়া আর–একটা অদৃষ্ট– ফদৃষ্ট বানিয়ে বেকুব হ’য়ে ব’সে থেকো না। অনেক লোক ‘অদৃষ্টে নেই’ ব’লে হাল ছেড়ে দিয়েই বসে থাকে, অথচ নির্ভরতাও নেই শেষে সারা জীবন দুঃখে কাটায় –ওসব আহাম্মকী। তোমার তুমি গেলেই অদৃষ্ট ফুরুলো– দর্শনও নেই, অদৃষ্টও নেই। ‘সত্যানুসরন