মণিপুর নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে চাপে মুখ্যমন্ত্রী

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
চাপে পড়ে গেলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের দেওয়া এক নির্দেশে বীরেন সিং সমস্যায় পড়লেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা
মণিপুরের জাতি সংঘর্ষ নিয়ে কুকি সম্প্রদায় শীর্ষ আদালতে এক আবেদন জানিয়েছিল। কুকি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস ট্রাস্টের পক্ষে ওই আবেদন করা হয়। অভিযোগ, মণীপুরের জাতি সংঘর্ষে মদত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এক অডিও বার্তা ফাঁস হয়ে যায়, সেখানে যার কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে তা মুখ্যমন্ত্রীরই কণ্ঠস্বর বলে দাবি করে ওই সংস্থা। অডিও বার্তায় শোনা যায়, মেইতেই সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তিকে রাজ্যের অস্ত্রভাণ্ডার লুটের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং তাকে যাতে পুলিশ ধরতে না পারে সেই বিষয়েও তাকে আশ্বস্ত করা হয়। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ শীর্ষ আদালতে ওই অডিও রেকর্ড জমা দেন। প্রশান্ত ভূষণ জানান বন্ধ ঘরের ওই কথোপকথন কেউ রেকর্ড করে নেয়। পরে তা ফাঁস হয়ে যায়।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন ওই অডিও রেকর্ডের সত্যতা নিয়ে প্রমাণ নিয়ে আসতে। এরপরেই ওই অডিও, ট্রুথ ল্যাবে পাঠানো হয়। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কন্ঠস্বর ৯৩ শতাংশ ঠিক।
কুকি সংগঠন এই কন্ঠস্বর নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানায়। সেই প্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ ওই অডিও টেপের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্ট তলব করেছে।
এদিকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতে জানিয়েছেন,এই বিষয়ে এফ আই আর হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।তাই বিষয়টি প্রথমে হাইকোর্টের বিচার্য হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি তিনি জানান, তদন্তকারী সংস্থা , ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের কাছেও কন্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৪ মার্চ।