যেখানে গমন করিলে মনের গ্রন্থির মোচন বা সমাধান হয় তাই তীর্থ।
কোন মহান পুরুষের সাহচর্য্য বা তাঁর ভাব ও কর্মের সে-সমস্ত বাস্তব অভিব্যক্তি জ্যোতিষ্মানভাবে তাঁকে ব্যক্ত করছে তাঁরই সংস্পর্শ-লাভ হচ্ছে তীর্থ-বৈশিষ্ট্য।
আর শ্রদ্ধাবনত হৃদয়ে মানুষ যখনই সেখানে গমন করে তখনই সেই ভাব, কর্ম ও বোধের দীপ্তিতে তার বৃত্তিসমাহিত অন্তঃকরণ বৃত্তির বাঁধন হ’তে অনেক পরিমাণেই উন্মুক্ত ও উত্তীর্ণ হ’য়ে উঠে ও পথ পায়-
আর তাই হচ্ছে তীর্থের মহিমা।
যখনই তোমার পরিস্থিতি -সংঘাত-সংক্ষুদ্ধ হৃদয় পরিশ্রান্ত অবশতায় পথহারা হ’য়ে_ সংসারক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ-সামঞ্জস্য-সমাধান প্রবৃত্তি নিশ্চেষ্ট হ’য়ে উঠে’
ইষ্টস্বার্থ ও ইষ্টপ্রতিষ্ঠার উদ্দমতা নিষ্প্রভ বেদনায় পর্যবেশিত হয়, তুমি তৎক্ষণাৎ নিজেকে শ্রদ্ধাবনতিতে আনত ক’রে তীর্থ-ভ্রমণে গমণ করিও_স্বাস্থ্য, ভরসা ও পথ উদ্দীপনার সহিত যথাসম্ভব তোমার কাছে আবির্ভূত হইবেই। ‘সত্যানুসরণ’
তীর্থ
