বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শেষে, দুপক্ষই সরকার গড়ার দাবী করছে। একদিকে কেজরিওয়ালের আপের দাবী তারাই ফের দিল্লিতে সরকার গড়বে। অন্যদিকে বিজেপির আশা দিল্লিবাসী এবার মোদীর গ্যারান্টির ওপর ভরসা রাখবেন।
পাঁচ তারিখ অর্থাৎ বুধবার দিল্লি বিধানসভার ভোট। সোমবার শেষ দিনের প্রচারে তিনপক্ষই একে অন্যকে তীব্র আক্রমণ করে। আপ এবং বিজেপি সরকার গড়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী হলেও কংগ্রেস এখনও সেই দাবী করছে না। ফলে তারা নিজেদের কিছুটা পিছনেই রাখছে। তাদের লক্ষ্য বেশ কিছু আসন জিতে সরকার গড়ার আসল কারিগর হওয়া।
সোমবার বিজেপির প্রচারে প্রবেশ বর্মা দাবী করেন তাঁরা জিতলে প্রথমেই তালকোটরা স্টেডিয়ামের নাম বদলে দেবেন। অন্যদিকে বিজেপির অনুরাগ সিং ঠাকুরের দাবি কেজরিওয়াল বুঝে গেছেন তিনি হেরে যাবেন।তাই তার চোখ মুখে হারার ছাপ পড়েছে। স্মৃতি ইরানি বলেন , দিল্লির প্রতিটা গলিতে এখন মোদীজীর গারান্টির কথা শোনা যাচ্ছে। শেষ বেলার প্রচারে বিজেপি তাদের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করেছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রচারে নামায় তারা। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, দিল্লিতে বিজেপি বিপুল জয় পাবে।দিল্লির মানুষ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ওপরই ভরসা রাখবেন।
অন্যদিকে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, দিল্লিতে তাঁরা ঐতিহাসিক জয় পেতে চলেছেন। তিনি বলেন, বিজেপিও সে কথা বুঝতে পারছে, তাই তারা নির্বাচন কমিশন এবং অমিত শাহের পুলিশকে কাজে লাগাতে চাইছে। তিনি সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে কটাক্ষ করে বলেন, অবসরের পর কোন পদ নেবেন স্থির করে ফেলেছেন হয়ত। আপের অভিযোগ, বিজেপি আপের কর্মী সমর্থকদের ওপর গুন্ডাগিরি করছে। তাদের প্রচারের গাড়ির ওপর হামলা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো ফল হচ্ছে না, তারা বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে।কেজরিওয়ালের দাবী এসব সত্ত্বেও তাঁরাই দিল্লিতে সরকার গড়বেন।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের শরিক হলেও দিল্লিতে এবার আপের বিরুদ্ধে লড়ছে কংগ্রেস। যদিও শীলা দিক্ষীতের সময়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। রাজকুমার চৌহান, অরবিন্দ সিং লাভলি এবং ডাঃ এস সি ভাটের মতো নেতা দল ছেড়া দেওয়ায় দিল্লিতে তারা যথেষ্ঠ দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে সন্দীপ দিক্ষীতের মতো নেতারা দলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন । শেষ বেলার প্রচারে এসেছিলেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কাও। সন্দীপ দিক্ষীতের অভিযোগ কেজরিওয়াল শুধু খয়রাতির রাজনীতি করে ভোটে জিততে চাইছেন। গরিব মানুষের কর্ম সংস্থান নিয়ে কিছু বলছেন না। সাধারণ মানুষ কাজ পাওয়ার আশায় কংগ্রেসের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
প্রচার শেষ, সরকার গড়ার আশা আপ ও বিজেপির
