অন্ধ হওয়া দুর্ভাগ্য বটে, কিন্তু যষ্টিচ্যুত হওয়া আরো দুর্ভাগ্য, কারণ যষ্টিই অনেকটা চক্ষুর কাজ করে। স্কুলে গেলেই তা’কে ছাত্র বলে না আর মন্ত্র নিলেই তা’কে শিষ্য বলে না। হৃদয়টি শিক্ষক বা গুরুর আদেশ–পালনের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রাখতে হয়। অন্তরে স্থির বিশ্বাস চাই। তিনি যা–ই ব’লে দেবেন তা–ই ক’রতে হবে–বিনা আপত্তিতে বিনা ওজরে, বরং পরম আনন্দে। যে ছাত্র বা শিষ্য প্রাণপণে আনন্দের সহিত গুরুর আদেশ পালন করেছে, সে কখনোই বিফল হয়নি। শিষ্যের কর্তব্য প্রানপনে গুরুর আদেশ কার্যে পরিণত করা, গুরুকে লক্ষ্য করে চলা। তাঁর ভৎসনার ভয় দেখাচ্ছে ভালবাসার ভয় রাখাই ভালো–আমি যদি অন্যায় করি তবে তাঁর প্রাণে ব্যথা লাগবে। যখনই দেখবে গুরুর আদেশে শিষ্যের আনন্দ হ’য়েছে, মুখ প্রফুল্ল হ’য়ে উঠছে, তখনই বুঝবে যে তা’র হৃদয়ে শক্তি এসেছে। খবরদার,– কাউকে হুকুম ক’রে কিংবা চাকর– বাকর দিয়ে গুরুর সেবা–সুশ্রূষা করতে যেওনা–প্রসাদ থেকে বঞ্চিত হ’য়ো না। মা নিজের হাতে ছেলেপিলেদের যত্ন করে ব’লে ছেলের উপর অশ্রদ্ধা আসে না তাই–এত ভালবাসা। নিজে হাতে গুরু সেবা করলে অহংকার পাতলা হয়, অভিমান দূরে যায়, আর প্রেম আসে। ‘সত্যানুসরণ’