।। রোগ প্রতিরোধের সহজ উপায় ।।

অমৃত কথা

শ্রীশ্রীঠাকুর—রোগ মানে psycho-physical maladjustment (শরীরমানস অসঙ্গতি)। আরোগ্য হ’লো মানে readjustment (পুনর্বিন্যাস) হ’লো। রুগ্ন অবস্থায় নামপরায়ণ ও আত্মবিশ্লেষণ মুখর হ’য়ে অভ্যস্ত দৈহিক ও মানসিক অনাচার-কদাচারগুলিকে ক’রে, সেগুলির নিরসন করতে সুরু করলে, তাতেই প্রায়শ্চিত্ত হয়। ভবিষ্যতের অনেক দুর্ভোগও এতে প্রশমিত হয়।……….শারীরিক ও মানসিক সদাচার একান্ত প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা সম্বন্ধে খুব সাবধান হ’তে হয়। খাদ্য যতই ভাল হো’ক না কেন, অপ্রবৃত্তি ও অপ্রসন্নতার সঙ্গে খেলে, সে খাদ্য শরীরের কোন কাজে লাগে না, বরং মানসিক অপ্রবৃত্তি ও অপ্রসন্নতার ফলে কতগুলি gland and organ (গ্রন্থি এবং শরীরের অংশ) work (ক্রিয়া) করে না, তার থেকে অসুখ আসে। তাই, যার-তার হাতে খাওয়া ভাল না। শরীরের জন্য বিশেষ প্রয়োজন unicentric psycho-physical elatement (একমুখী শরীর-মানস উৎফুল্লতা)। ঐটে যার যত বেশী থাকে, তার resistance-power (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) তত বেড়ে যায়। হয়তো মশার কামড় খেয়েও ম্যালেরিয়া হয় না। অবশ্য, সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি পালন ক’রে চলাই ভাল।
একটু থেমে বললেন—নিজস্ব observation (পর্য্যবেক্ষণ) থাকলে অনেক জিনিস ধরা পড়ে। বোঝা যায় কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ। আমি যখন মাছ খেতাম, দু-চার দিন এক জায়গায় প্রস্রাব করলে সেখানকার ঘাস মরে যেত। কিন্তু মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়ে দেখতাম অমন মরতো না। আমার মনে হয়, মাছ খাওয়ায় শরীরে toxin (বিষক্রিয়া) বাড়ে, তাই অমন হয়।

(আলোচনা প্রসঙ্গে ৮ম খণ্ড/২.৭.১৯৪৬ থেকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাণী।)

16:22