তোমার দর্শনের, জ্ঞানের পাল্লা যতটুকু, অদৃষ্ট ঠিক তারই আগে। দেখতে পাচ্ছ না, জানতে পাচ্ছ না – তাই অদৃষ্ট। তোমার শয়তান অহঙ্কারী আহাম্মক ‘আমি’-টাকে বের ক’রে দাও, পরমপিতার ইচ্ছায় তুমি চল, অদৃষ্ট কিছুই করতে পারবে না। পরমপিতার ইচ্ছাই অদৃষ্ট। তোমার সব অবস্থাতেই তাঁর মঙ্গল ইচ্ছা বুঝে’ সেই দিকেই বাস্তবভাবে চলতে থাক – দেখবে কাতর হবে না, বরং কত সবলতা আসবে, দু:খেও আনন্দ পাবে। কাজ ক’রে যাও, অদৃষ্ট ভেবে ভেঙ্গে প’ড়ো না, আলসে হ’য়ো না। যেমন কাজ করবে, অদৃষ্ট তেমনি হ’য়ে দৃষ্ট হবে। সৎকর্ম্মীর কখনও অকল্যাণ হয় না – একদিন আগে আর পাছে। পরমপিতার দিকে তাকিয়ে কাজ ক’রে যাও। তাঁর ইচ্ছাই অদৃষ্ট, তা-ছাড়া আর-একটা অদৃষ্ট ফদৃষ্ট বানিয়ে বেকুব হ’য়ে বসে থেকো না। অনেক লোক ‘অদৃষ্টে নেই’ ব’লে হাল ছেড়ে দিয়েই ব’সে থাকে, অথচ নির্ভরতাও নেই, শেষে সারাজীবন দু:খে কাটায় – ওসব আহাম্মকী। তোমার তুমি গেলেই অদৃষ্ট ফুরুলো – দর্শনও নেই, অদৃষ্টও নেই। ‘সত্যানুসরণ’
“অদৃষ্ট”
