মানুষের বোধ, চিন্তা বা কল্পনার ভিতর যেগুলি থাকে তাকে বাস্তবতায় বা বিদ্যমানতায় আনতে পুন: পুন: তা’ কাজের ভিতর দিয়ে করবার ঝোঁক — যা’তে তা’কে যথাযথভাবে থাকায় পর্য্যবসিত করা যেতে পারে– তাকেই অভ্যাস বলা যায়।
চিন্তাপ্রসূত কোন-কিছুকে তদনুপাতিক বাস্তবতায় পরিণত করতে গেলে তা’ করার ঝোঁককে এমনতর রকম বাড়াতে হবে যাতে তা’ না-করেই থাকা যায় না।
এই বাস্তবতায় পরিণত করতে যে ঝোঁকের প্রয়োজন — যা’ দিয়ে তা’ যথাযথভাবে করতে প্রয়াসশীল করে তোলে, না করেই থাকা যায় না – কিছু করতে হলেই তা চাই-ই আর তাই-ই অভ্যাস।
তুমি যদি তোমার মনোমত কিছু করতেই চাও, তা’-হলে তোমার করার ঝোঁককে এমনতর বাড়িয়ে তোল যাতে না-করেই থাকতে পার না। এক কথায় যাকে অভ্যাস বলা যাচ্ছে তা যেমন করে করতে হয় তা করতেই হবে — কিছুতেই তা ছেড়ো না। দেখবে করার ফল তোমাকে অভিনন্দিত করবেই করবে।
এই ঝোঁককে যদি বাড়াতে চাও, তোমার চিন্তার চয়নগুলিকে এমনতর প্রকৃষ্টভাবে অনুকূল ও আশাপ্রদ করে আপনার করে নাও — যাতে তুমি এমনতরভাবে তার প্রলোভন-মুগ্ধ হয়ে ওঠ যে যতক্ষণ না করতে পাচ্ছ, তোমার ভিতরটা একটা যবরদস্তি যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে – আর সেই ছটফটানিতে যা করতে যাচ্ছ তা ছাড়া আর-কিছুই ভালোই লেগে উঠছে না – দেখবে এই ঝোঁকের তোড় যেমনতর হয়ে উঠবে তোমার করাটাও তেমনতর নিরবচ্ছিন্ন জ্বলজ্বলে হয়ে উঠবে। “সত্যানুসরণ”
“অভ্যাস”
