ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া থেকে স্ক্রিনশট
শুধু রাশি নয়, মানুষের জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত জুড়ে আছে গ্রহ নক্ষত্র ও তিথি
গ্রহের প্রসন্নতা বা গ্রহ বৈগুণ্য হেতুই মানুষের বল, বুদ্ধি, সৌন্দর্য্য, ঐশ্বর্য্য, জ্ঞান, ধর্ম ও সুখ দুঃখের তারতম্য ঘটে। গ্রহ প্রভাবে কেউ কাঙ্গাল কেউ সম্রাট।
জন্মান্তরে ও ইহ জীবনের কর্মফলেই গ্রহগন শুভ বা ক্রুর ভাবাপন্ন হন। যিনি যে ধর্ম জাতিরই মানুষ হোন গ্রহকে প্রসন্ন বা অনুকূল না রাখতে পারলে বিপদ থেকে রক্ষা নেই।
এই গ্রহকে প্রসন্ন ও অনুকূল করার নয়টি উপায়
সেগুলি হলো –
গ্রহযোগ , গ্রহহোম, গ্রহপূজা , গ্রহস্নান, গ্রহরত্ন ধারণ, গ্রহৌষধ ধারণ, গ্রহ কবচ ধারণ, গ্রহমন্ত্র জপ এবং গ্রহ স্তব ও প্রণাম।
এই স্তব ও প্রণামে গ্রহ দেবতারা সবচেয়ে প্রসন্ন হন, বা সুদৃষ্টি দেন।
জানিয়ে রাখি
গ্রহ গণের মধ্যে মঙ্গল, শনি এবং রাহু ও কেতু স্বভাবতই ক্রুর প্রকৃতির, তাই তারা বিরূপ হলে মানুষের দুঃখের আর অন্ত থাকবে না।
এই গ্রহ দেবতার মধ্যে শনির দৃষ্টি ভয়াবহ, তারই দৃষ্টিতে দেবাগ্র পূজ্য গণপতির মুন্ড ছিন্ন হয়ে গজানন হয়েছিল। ফলে মানুষ তো দুর অস্ত, স্বয়ং দেবতারাও এই গ্রহের কোপ দৃষ্টি হতে রক্ষা পান না।
বঙ্গবার্তায় আপনাদের বৃদ্ধি রক্ষা ও মঙ্গল কামনায় গ্রহ শান্তির সংক্ষিপ্ত মন্ত্র প্রতিদিন সকালে
স্নানের পর এই মন্ত্র পাঠ করুন
:আজ শনিবার গ্রহরাজ শনির দিবস:
শনি জীবের দুঃখের অধিপতি, তমোগুন বিশিষ্ট বায়ু প্রকৃতি জীব দেহে স্নায়ুর অধিপতি, পঞ্চ মহাভূতে বায়ু তত্ত্বের অধিপতি, কষায় রসের অধিপতি, পশ্চিম দিকের অধিপতি, জীবদেহে গ্রহরাজ জানু ও উরুদেশে আধিপত্য করে থাকে।
শনি ক্লীবগ্রহ , কৃষ্ণ দীর্ঘকায়, পিঙ্গলাক্ষ, কৃষ্ণবর্ন স্থূলদন্ত, পঙ্গু দৃঢ় কেশ, নীল বর্ন দেহ, ধূম্র আকার, ম্লেচ্ছ জাতির অধিপতি
শনির রাশি কি ?
শনি কুম্ভরাশি ও কুম্ভ লগ্নের অধিপতি।
শনির দান দ্রব্য কি ?
মাষ কলাই, কৃষ্ণ তিল তৈল, নীলকান্ত মনি, কৃষ্ণ তিল, ফুলত্থ
কলাই, মহিষ, লৌহ বস্ত্র ও দক্ষিণা।
শনির রত্ন কি?
ইন্দ্র নীল মনি ও সিস ঔষধ বেড়েলার মূল গ্রহদান।
শনির মন্ত্র যা উচ্চারণ করলে তিনি তুষ্ট হন
দশবার জপ করুন শনিরমন্ত্র
ওউং ওইং হিং শ্রিং শনৈশ্চরায়
গ্রহায় নম।
এবার ধ্যান করুন, শনি দেবার মূর্তি স্মরণ করে
অং সৌরাস্ট্রং কাশ্যপং শূদ্রং
সুর্য্যাস্যয়ং চতুরাঙ্গুলং
কৃষ্ণনং কৃষ্ণাম্বর গৃধ্রগতং সৌরিং
চতুর্ভুজং উদ্যদ্বান বরং শূলং
ধনুরহস্টং সমাহ্বয়েৎ
যমাধি দৈবতং রুদ্রং প্রজাপতি প্রত্যধি দৈবতং।
শনির প্রণাম মন্ত্র
নীলাঞ্জন চয় প্র্যখং রবি সুতং মহাগ্রহং
ছায়ায়া: গর্ভ সম্ভূতং বন্দে ভক্ত্যা
শনৈশ্চরং ।।
গ্রহ স্তুতি মন্ত্র
ত্বং নমামি দিবাকর নন্দনং
কৃষ্ণবর্ন চতুর্ভুজ গৃধ্রপক্ষ বাহনং
ছায়া গর্ভে সমুদ্ভূত উর্ধদৃষ্টি নয়নং,
বামহস্তে ধনুর্ধারী বড়াভয় কারনং,
গ্রহরূপী নারায়ণ বিপদ বারনং
সঙ্কটে উদ্ধার করি রক্ষা কর জীবনং ।।
এই অর্চনা করলে শনি দেব বিশেষ প্রসন্ন হবেন।।