পীযূষ চক্রবর্তী,
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করে জখম হলেন এক ছাত্রীর বাবা। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ছাত্রীর বাবার। সোমবার সরস্বতী পুজোর দিন ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া রামরাজাতলায়। গার্লস স্কুলের সামনে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এদিন সকালে রামরাজাতলার একটি গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী সরস্বতী পুজো দেখতে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যায়। সেই সময় তিন নাবালক একটি স্কুটি চেপে স্কুলের সামনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছিল। ওই তিন নাবালক লাগাতার ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল। দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীটিকে উদ্দেশ্য করেও কটূক্তি করতে থাকে তারা। তখনই ওই ছাত্রীর বাবা প্রতিবাদ করলে তার মাথা ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্তেরা। এমনটাই অভিযোগ ওই ছাত্রীর পরিবারের। এরপরই স্কুলের সামনে শুরু হয় শোরগোল। এলাকার লোকেরা অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় তাদের মারধর। সেই সময় বাকি অভিভাবকরাও সেখানে এসে উপস্থিত হন। তড়িঘড়ি সেখানে এসে উপস্থিত হয় চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। মারমুখী জনতার হাত থেকে ওই দুজনকে পুলিশ উদ্ধার করে। তবে এখনও পলাতক তৃতীয় অভিযুক্ত। তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন এলাকার লোকজন।
হাওড়ায় সরস্বতী পুজোতে মেয়ের স্কুলে গিয়ে ইভটিজারদের আক্রমনে মাথা ফাটল বাবার
