বস্তু বিষয়ক সম্যক দর্শন দ্বারা তন্মননে সংকল্প- বিকল্পাত্মক মনের নিবৃত্তি যাঁহাদের হইয়াছে তাঁহারাই ঋষি।
তাই ঋষি মানেই হচ্ছে দ্রষ্টাপুরুষ। আদর্শের স্বার্থ ও প্রতিষ্ঠায় অনুরাগী হ’য়ে মানুষ যখনই জগতের প্রতি বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ, সামঞ্জস্য ও সমাধানকে লইয়া বিশ্লেষণ ও বিচারের সহিত আদর্শের স্বার্থ ও প্রতিষ্ঠাকে পুষ্ট ও তুষ্ট করার অনুকূল অনুরাগে সবগুলিকে প্রত্যক্ষ ক’রে পরম একত্বে উপনীত হয় তখনই তাহাঁকে ঋষি বলা যায়।
এই ঋষিই হচ্ছেন আর্য্যকৃষ্টির প্রধান নায়ক ও শিক্ষক_ তাঁরাই গুরু বা আচার্য্য। আপ্রাণ আদর্শানুরাগে চিন্তা ও করার ভিতর দিয়ে প্রত্যক্ষ জ্ঞানে বাস্তব অভিব্যক্তিতে পর্য্যবসিত ধী ও মেধাসম্পন্ন,প্রতি-প্রত্যেককে আত্মবৎ-কারী এই ঋষিরাই ছিলেন বেদ বা জ্ঞানের জ্যোতিঃ বাচক বা প্রতীক।
সশ্রদ্ধ বিনয়াবত ভক্তি, সেবা ও পূজার সহিত এর অনুসরণেই মানুষ এঁদের অন্তর্নিহিত জানা ও বোধ লাভ ক’রে অপার সার্থকতায় ধন্য ও সার্থক হ’য়ে উঠতে পারে। তাই ঋষি বাদ দিয়ে যারা ঋষিবাদের উপাসনা করে, তাদের অধিগম্য যা’ -কিছু জ্ঞান অন্ধ তমসাকেই সার্থক ক’রে তোলে। ‘সত্যানুসরণ’
ঋষি
