বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
আর জি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের মামলায় সি বি আই এখন কী তদন্ত করছে ? ইতিমধ্যে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সি বি আই কি আর কেউ এর সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছে?তাদের কী মনে হয়েছে এটা গণধর্ষণের ঘটনা? এই মুহূর্তে তারা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে? এ রকম একগুচ্ছে প্রশ্নের মুখে পড়ল সি বি আই। সোমবার কলকাতা হইকোর্টের বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষের এজলাসে ফের শুরু হয়েছে আর জি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের শুনানি। সেখানেই বিচারপতি্র এই প্রশ্নের মুখে পড়ে তদন্তকারী সংস্থা সি বি আই।আদালত সি বি আই কে কেস ডায়েরি জমা দিতে বলেছে।
এদিন নির্যাতিতার হয়ে আইনজীবী শামিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের হয়ে ছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে শামিম আহমেদ বলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেছেন এই মামলা আবারও হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু আইনের আছে। তার মানে রাজ্য সরকার চাইছে না, এই মামলা আবারও হোক।তিনি আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দোষীকেও যেন এই মামলায় যুক্ত করা হয়।বিচারপতি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনা সাপেক্ষ।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, নির্যাতিতার পরিবার বিশেষ আদালতে না গিয়ে হাইকোর্টে কেন এলেন? গোটা বিচার প্রক্রিয়া শেষ। চার্জশিট দেওয়া হয়ে গেছে। এরপরেও পুনরায় তদন্তের দাবি করা হচ্ছে কেন ? সি বি আই এতদিন কী করছিল? আবারও শুনানির প্রয়োজন আছে? ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করুক সি বি আই।
এদিকে নির্যাতিতার পরিবার আবেদন করেছে পুরো তদন্ত যেন আদালতের নজরদারিতে করা হয়। একজন অতিরিক্ত এস পি পদমর্যাদার পুলিশ কর্তার অধীনে সিট গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী এবং নার্সদের এখনও জিঙ্গাসাবাদ করা হয় নি। জিঙ্গাসাবাদ করা হয় নি অতিরিক্ত সুপারকেও। এই সব বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়ার আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সি বি আই
