যাঁকে তুমি চালকরূপে মনোনীত করে নিয়েছ, তাঁর কাছে তোমার হৃদয়ের কোন কথা গোপন রেখো না। গোপন করলে তাঁকে অবিশ্বাস করা হবে – আর অবিশ্বাসেই অধঃপতন।
‘চালক অন্তর্যামী ‘ যদি ঠিক-ঠিক বিশ্বাস হয়, তবে তুমি কুকার্য্যই করতে পারবে না। যদি করেই। ফেল – তবে নিশ্চয়ই স্বীকার করবে। আর গোপন করতে ইচ্ছা হলেই জেনো তোমার হৃদয়ে দুর্ব্বলতা এসেছে এবং অবিশ্বাস তোমাকে আক্রমণ করেছে – সাবধান হও, নতুবা অনেক দূর গড়াবে।
তুমি যদি গোপন কর, তোমার সৎ-চালকও গা-ঢাকা দেবেন; আর তুমি তোমার হৃদয়ের ভাব ব্যক্ত কর, উন্মুক্ত হও, তিনিও তোমার সম্মুখে উন্মুক্ত হবেন – ইহা নিশ্চয়।
গোপন অভিপ্রায়ে চালককে ‘অন্তর্যামী সবই জানতে পারছে’ বলে চালাকি করলে নিজেই পতিত হবে, দুর্দ্দশায় ঘিরে ধরবে।
সৎ চালক পাতলা অহংযুক্ত। তিনি নিজে তাঁর ক্ষমতা কিছুতেই তোমার নিকট জাহির করবেন না, এবং সেইজন্য তোমার ভাবানুযায়ী তোমাকে অনুসরণ করবেন- আর। এই-ই সৎ চালকের স্বভাব। যদি সৎ চালক অবলম্বন ক’রে থাক — যাই কর, তা’ যদি এমনতর অন্যায়ও হয় যাতে কোনক্রমে তাঁর ইচ্ছার অনুসরণ করতে পার – ভয় নাই, মরবে না, কিন্তু কষ্টের জন্য রাজি থাকো। ‘সত্যানুসরণ’
“চালকে অবিশ্বাস”
