অনুভূতির দ্বারা যা’ জানা যায় তাই জ্ঞান। জ্ঞানের মত আর দৃষ্টি নেই।
জ্ঞানকেই বেদ বলে – আর বেদ অনন্ত। যে যতটুকু জানে সে ততটুকু বেদবিৎ।
যার পাকা বিশ্বাস নেই, তার অনুভূতি নেই – আর যা’র অনুভূতি নেই, সে আবার পণ্ডিত কিসের?
জ্ঞান ধাঁধাঁকে ধ্বংস করে, – মানুষকে প্রকৃত চক্ষু দান করে।
জ্ঞান বস্তুর স্বরূপকে নির্দেশ করে; আর বস্তুর যে-ভাব জানলে জানা বাকী থাকে না তাই তা’র স্বরূপ।
অজ্ঞানতা মানুষকে উদ্বিগ্ন করে, জ্ঞান মানুষকে শান্ত করে। অজ্ঞানতাই দুঃখের কারণ, আরর জ্ঞানই আনন্দ।
যার অনুভূতি যতটা, তা’র দর্শন জ্ঞানও ততটা, আর জ্ঞানেই বিশ্বাসের দৃঢ়তা।
তুমি যতটুকু জ্ঞানের অধিকারী হবে, ততটুকু শান্ত হবে। তোমার জ্ঞান যেমনতর, তোমার স্বচ্ছন্দে থাকবার ক্ষমতাও তেমনতর।
তুমি ভক্তিরূপ তেলে জ্ঞানরূপ পলতে ভিজিয়ে সত্যরূপ আলো জ্বালাও, – দেখবে কত ফড়িং, কত পোকা, কত জানোয়ার, কত মানুষ তোমাকে কেমন ঘিরে ধরেছে।
আলস্য থেকে মূঢ়তা আসে, আর মূঢ়তাই অজ্ঞানতা।
যে অনুভূতির খুব গল্প করে, অথচ তার লক্ষণ প্রকাশ হয় না, তা’র গল্পগুলি কল্পনামাত্র বা আড়ম্বর। যত ডুববে, তত বেমালুম হবে।
যেমন ডালিম পাকলে আপনিই ফেটে যায়, তোমার অন্তরে সৎভাব পাকলে আপনিই ফেটে যাবে, তোমার মুখে তা প্রকাশ করতে হবে না।
আদর্শে গভীর বিশ্বাস না থাকলে নিষ্ঠাও আসে না, ভক্তিও আসে না। আর ভক্তি না হ’লে অনুভূতিই বা কি হবে, জ্ঞানই বা কি হবে–আর সে প্রচারই বা করবে কি? ‘সত্যানুসরণ’
জ্ঞান
