বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই শতরান করেছেন সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। অস্ট্রেলিয়ার সফরের ব্যর্থতা কাটিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন তিনি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শতরানের পর পুরনো ছন্দে সমার সল্ট দিয়ে সেলিব্রেশন করেন পন্থ।
তবে তাকে আবার তা করতে নিষেধ করলেন পন্থের চিকিৎসক বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন দীনেশ পারদিওয়াল। তিনি বলেন,ছোটবেলা থেকেই জিমন্যাস্টিক করে পন্থ। তাই খুব সহজেই ডিগবাজি খেতে পারে, সেই কারণেই হয়তো অমন ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশন করেছে। কিন্তু আমি ওকে বলব, এমন সেলিব্রেশন আর কখনও যেন না করে।
অর্থোপেডিক সার্জন দীনেশ পারদিওয়াল বলেন, ওর বেঁচে থাকাটাই আশ্চর্যের। এটা ওকে বুঝতে হবে। যেভাবে গাড়িটা উলটে আগুন ধরে গিয়েছিল, তাতে মৃত্যু অবধারিত ছিল। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে পন্থ। তাই এই ধরনের সেলিব্রেশন না করা উচিত।
বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে বড় শট খেলতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন পন্থ। এরপরেই সুনীল গাভাসকর ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড বলে মন্তব্য করেন পন্থকে নিয়ে। মার্চ মাসে বাদ পড়েন ভারতের একদিনের দল থেকে।
ভারতের প্রাক্তন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাই জানিয়েছেন, তখন সময় পেলেই ঋষভ আমায় নিয়ে জিমে যেত। সারাদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করত। মাথা যন্ত্রণা বা ওয়ার্কলোড নিয়ে ভাবত না। ও নিজের হোয়াট্সঅ্যাপ ফোন থেকে মুছে দিয়েছিল।
এমনকি, ফোনও বন্ধ করে দিয়েছিল। অনুশীলনের সময় বাড়িয়ে দিয়েছিল। যখনই সময় পেত, আমাকে নিয়ে জিমে চলে যেত। কঠোর পরিশ্রম করত। ক্লান্ত হয়ে গেলেও পরিশ্রম থামাত না।
সোহম আরও বলেন, পন্থ আমাকে বলেছিল, আপাতত আগামী এক বছরের কথা ভাবছি। আমার ফিটনেস আরও ভাল করতে হবে। দেখে মনে হচ্ছিল, নিজেই নিজেকে শাস্তি দিচ্ছে। ক্রিকেটের বাইরে কিছু ভাবত না। এরফলেই এখন ইংল্যান্ডে ভালো খেলতে পারছে।