বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি ‘কূটনৈতিক’ সমাধান খুঁজতে ইরানকে নিয়েই এবার বেইজিংয়ে আলোচনায় বসল রাশিয়া ও চিনের কূটনীতিকরা। দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে সুর চড়ান ট্রাম্প।কিন্তু বারবার এমন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার বার্তা দিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, হুমকির মুখে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।এদিন বৈঠকের আগে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সাংবাদিকদের বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমরা বিশ্বাস করি যে সকল পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকা উচিত, যাতে ইরানের পরমাণু পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত না হয় বা সংঘাত ও বিরোধের দিকে না যায়।” এদিন চিনের ভাইস ফরেন মিনিস্টার মা ঝাওজু, রাশিয়ার ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার সের্গেই রিয়াবকভ এবং ইরানের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার কাজেম গারিবাবাদি এই বৈঠকে অংশ নেন। কিন্তু ট্রাম্প কেন ইরানকে আলোচনায় বসাতে চাইছেন? ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএর গোপন প্রতিবেদনে জানানো হয় যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ আগের চেয়েও অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে ইরান। আর এর ফলে অনুমান যে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।আর এজন্যেই ইরানকে আলোচনার টেবিলে চান ট্রাম্প। যদিও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেই দাবি করেছেন যে ইরানের কাছে পরমাণু অস্ত্র নেই এবং তারা তা চায়ও না।