পূণ্য

অমৃত কথা

যাহা করিলে অস্তিত্বকে রক্ষা করা হয় তাহাই পূণ্য।
যাতে মানুষ অন্যের বাঁচা-বাড়াকে নিষ্পেষিত না ক’রে নিজের বাঁচা-বাড়াকে সংবৃদ্ধির পথে চালিত ক’রে অন্যকে সংবৃদ্ধ ক’রে তোলে তাই করাই হচ্ছে প্রকৃত পুণ্যকর্ম।
যদি তোমার বাঁচা-বাড়ার সম্বর্দ্ধনায় তোমার পরিচয় ও পারিপার্শ্বিকের বাঁচা-বাড়া বেড়েই না উঠলো তা’-হ’লে তুমি নিশ্চয়ই পূণ্যবান নও_ এটা অতি নিশ্চয়।
সত্য,দান, দয়া, মায়া, মমতা, স্নেহ, ভালোবাসা প্রভৃতি তথাকথিত সৎকর্ম_ যা’ করায় তোমাকে সংবর্দ্ধিত ক’রে তোমার পারিপার্শ্বিককে উন্নতই না করল কিংবা ঐ সব ভালো কাজ তোমার ও তোমার পারিপার্শ্বিকের বৃত্তির ইন্ধন জুগিয়ে তোমাদিগকে আরও হীনতরেই পরিচালিত করতে লাগল সেগুলি তোমার পূণ্যকর্ম তো হয়ই-নি বরং পুণ্যের মুখোশে অপকর্মই হ’য়েছে। আদর্শের স্বার্থ ও প্রতিষ্ঠার মাপকাঠিতে যা’ করবে মেপেই ক’রে যেও ভূলও করবে কম দ্বন্দ্ব ও বিধ্বস্তিও আসবে কম। ‘সত্যানুসরণ’

11:05