মুজিবর রহমানের ঢাকার বাড়িতে ভাঙচুর বিক্ষোভকারী ছাত্রদের, নিষ্ক্রিয় ইউনূস প্রশাসন

পীযূষ চক্রবর্তী,
ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঢাকার ধানমন্ডির বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেশ কিছু আওয়ামী লীগ বিরোধী সাধারণ মানুষ। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎই ঢুকে পড়েন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। বাড়িতে ঢুকে তান্ডব শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়ির ভিতরে থাকা জিনিসপত্র। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু ও তার মেয়ে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিন রাতে কয়েকশো মানুষ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভাঙার চেষ্টা করেন। এটি ক্ষান্ত হননি তারা। বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। ঠিক যেন গত বছরের জুলাই গণ অভ্যুত্থানে হাসিনাকে পদচ্যুত করতে যেভাবে আন্দোলন দেখিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা তারই প্রতিচ্ছবি।
আজ রাতে বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের কথা ছিল। তার আগেই অবশ্য বিক্ষোভকারীরা ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালান বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। তার স্মৃতিটুকু মুছে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রয়াস চালানো হয়। এদিন মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসন কোনরকম পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে যথেচ্ছভাবে তান্ডব নৃত্য করেন বিক্ষোভকারীরা। তৃতীয় তলায় আগুনও ধরিয়ে দেন তারা। রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়িটির দেওয়াল ভাঙতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
হামলার আগে এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
জানা গিয়েছে, এই বাড়ি থেকে মুজিবুর মুক্তিযুদ্ধের আগের দিনগুলোতে দিকনির্দেশনা দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই বাড়িতেই স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ সহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিকে পরবর্তীকালে জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।