Published by Subrata Halder, 04 May 2025, 11:57pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো, বিনোদন ডেস্ক
ভারতের হিন্দি সিনেমার জগতে সবচেয়ে চর্চিত ও জনপ্রিয় জুটির একটি হলেন দিলীপ কুমার ও মধুবালা। ‘মুঘল-ই-আজম’ ছবির মতো কালজয়ী চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করা এই জুটি বাস্তব জীবনেও প্রেমে জড়িয়েছিলেন। তবে সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ দাবি করেন, মধুবালার সন্তান হবে না জেনে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন দিলীপ কুমার।
ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুমতাজ বলেন, ‘মধুবালা দিলীপকে ছাড়েননি। দিলীপ কুমারই তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ মধুবালা সন্তান ধারণে অক্ষম ছিলেন। এরপর তিনি সায়রা বানুকে বিয়ে করেন। তিনিও খুব ভালো মানুষ,
দিলীপ কুমারকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খুব যত্ন নিয়ে দেখভাল করেছেন। যদিও তাদের বয়সের মধ্যে অনেক ব্যবধান ছিল, তবে ভালোবাসাই ছিল তাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি। কিন্তু তাদের ও কোনো সন্তান হয়নি।
মুমতাজ বলেন, মধুবালা নিজেই দিলিপকে জানিয়েছিলেন, তার হার্টের জটিলতার কারণে সন্তান নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সেই খবর জানার পরই সবকিছু বদলে যায়। মধুবালার ভাষায়, ‘ইউসুফ বা দিলীপ কুমার সেটা জানার পর থেকেই ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে।
মুমতাজের মতে, দিলীপ কুমারের সন্তান পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই হয়তো তাকে সায়রা বানুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সায়রা বানুর সঙ্গেও দিলীপ কুমারের কোনো সন্তান হয়নি। সেটা নিয়েও আক্ষেপ মুমতাজের কণ্ঠে।
মুমতাজ বলেন, আমি দিলীপ কুমারকে দোষ দিই না। সন্তান চাওয়া মানুষের স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা। তিনি মধুবালাকে ভালোবাসতেন। কিন্তু পাশাপাশি একটি পরিবারও চেয়েছিলেন। যদিও সেই পরিবার তিনি পাননি।
মধুবালা ও দিলীপ কুমার একসঙ্গে তারানা, আমার, সঙ্গদিল এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দীর্ঘদিন প্রেম করার পরেও তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হননি। পরবর্তীতে মধুবালা বিখ্যাত গায়ক কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। অবশেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে মারা যান এই কালজয়ী অভিনেত্রী। দিলীপ ও মধুবালা একে অন্যকে পছন্দ করতেন তো বটেই, সংসার গড়ার স্বপ্নও দেখতেন, কিন্তু ওই একটি কারণেই দুটি মনের মিলন বাস্তব রূপ পায়নি। আর যে জীবনের জন্য মধুবালা তার প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছিল, সেই জীবন ও ঝড়ে গেলো অকালে।
যা আজও মুম্বাইয়ের অনেক পুরনো ষ্টুডিও তে কান পাতলেই শোনা যায়।