যে-ভাব বিরুদ্ধ ভাব দ্বারা আহত বা অভিভূত না হয়, তাই বিশ্বাস।
বিশ্বাসের মত আর সিদ্ধি নেই।
গভীর বিশ্বাসে সবই হতে পারে। বিশ্বাস কর; সাবধান। অহঙ্কার, অধৈর্য্য ও বিরক্তি না আসে, — আর চলও তেমনি – যা চাও তাই-ই হবে।
কর্ম্ম বিশ্বাসের অনুসরণ করে;– যেমনতর বিশ্বাস, কর্ম্মও তেমনতর হয়।
বিশ্বাস যুক্তি-তর্কের পার, — যদি বিশ্বাস কর, যত যুক্তি-তর্ক তোমার সমর্থন করবেই করবে।
তুমি যেমনতর বিশ্বাস করবে, যুক্তি-তর্ক তোমায় তেমনতর সমর্থন করবে।
বিশ্বাস না থাকলে দর্শন হবে কি-করে?
যদি বিশ্বাস না-কর, তোমার দেখাও হয় না, অনুভব করাও হয় না — আবার, ঐ দেখা ও অনুভব করা বিশ্বাসকেই পাকা করে দেয়।
বিশ্বাসই বিস্তার ও চৈতন্য এনে দিতে পারে – আর অবিশ্বাস জড়ত্ব, সঙ্কীর্ণতা এনে দেয়।
তুমি পন্ডিত হতে পার; — কিন্তু যদি অবিশ্বাসী হও, তবে তুমি কলের গানের রেকর্ডের কিংবা ভাষাবাহী বলদের মত নিশ্চয়।
যেরূপ আদর্শে তুমি বিশ্বাস স্থাপন করবে, তোমার স্বভাবও সেইভাবে গঠিত হবে, আর তোমার দর্শনও তদ্রূপ হবে।
বিশ্বাস নেই এমনতর মানুষ নেই; – যার বিশ্বাস যত গভীর, যত উচ্চে, তার মন তত উচ্চে, জীবন তত গভীর।
বিশ্বাস বুদ্ধির গন্ডীর বাহিরে, বিশ্বাস অনুযায়ী বুদ্ধি হয়। বুদ্ধিতে হাঁ না আছে, সংশয় আছে, — বিশ্বাসে হাঁ না নেই, সংশয় নেই।
ভাবেই বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠা। যুক্তি-তর্ক বিশ্বাসকে এনে দিতে পারে না। ভাব যত পাতলা, বিশ্বাস তত পাতলা, নিষ্ঠা তত কম। যার বিশ্বাস যত কম, সে তত undeveloped, বুদ্ধি তত কম তীক্ষ্ণ।
বিশ্বাসীকে অনুসরণ কর, ভালবাস, তোমাতেও বিশ্বাস আসবে।
‘আমার বিশ্বাস নেই’ – এই ভাবের অনুসরণে মানুষ হীনবিশ্বাস হয়ে পড়ে।
যে সৎ-এ বিশ্বাসী সে সৎ হবেই, আর অসৎ-এ বিশ্বাসী অসৎ হ’য়ে পড়ে।
তুমি যদি পাকা বিশ্বাসী হও, বিশ্বাস অনুযায়ী ভাব-ছাড়া জগতে কোন বিরুদ্ধ ভাব, কোন মন্ত্র, কোন শক্তি তোমাকে অভিভূত বা যাদু করতে পারবে না — নিশ্চয় জেনো।
কথায় আছে ‘বীরভোগ্যা বসুন্ধরা’ – তা’ ঠিক। বিশ্বাস, নির্ভরতা, আর আত্মত্যাগ – এই তিনটি বীরত্বের লক্ষণ। ‘সত্যানুসরণ’
“বিশ্বাস”
