বিট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী,জানলে অবাক হবেন

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
শীতকাল বিটের মরশুম হলেও বর্তমানে সারাবছরই পাওয়া যায় পুষ্টিগুণে ভরপুর এই আনাজটি। বিটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ, প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ।রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি-সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের জন্যেও উপকারী। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
বিটের রসে উচ্চ পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর।
শক্তি বৃদ্ধি
বিটের রসে থাকা নাইট্রেট শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি অক্সিজেন ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ায়, যা বিশেষত ক্রীড়াবিদদের জন্য উপকারী।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ
বিটে আয়রন এবং ফোলেটের পরিমাণ বেশি, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকর।
লিভার স্বাস্থ্য উন্নত করে
বিটের রস লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি লিভারের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী
বিটের রসে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
বিটের রসে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
বিটের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা
বিটের রসে থাকা নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, যা স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
বিটের রসে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
বিটের রসে বিটালেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করতে পারে।

বিটের রস সরাসরি পান করা যায় বা অন্যান্য ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যায়। তবে অতিরিক্ত খেলে প্রস্রাবের রং লাল হওয়া সহ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা পেটে অস্বস্তি হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে পান করুন। বিটের রস পান করলে নানা উপকার মিললেও কোনো বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।