সবার উপরে দিদিই সত্য তাহার উপরে নাই

বঙ্গবার্তা বুরো,
শেষ কথা বলবেন তিনিই। দলে তিনিই সব । দলের মধ্যে নব্য ও পুরাতনদের মতবিরোধ ঘোচাতে বিধায়কদের কাছে এই মত স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন ছিল। সেই অধিবেশনের আগে বিধায়কদের সঙ্গে দলের পরিষদীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অন্দরে কোনও রদবদল প্রয়োজন আছে কিনা, অন্যদিকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতি কি হতে পারে সেই নিয়েই এই বৈঠকের আয়োজন। আর এই বৈঠকেই কড়া নির্দেশের পাশাপাশি নানান প্রসঙ্গ তুলে মমতা অনেককেই হুঁশিয়ারী দেন।
মদন মিত্র ও উদয়ন গুহ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন, ক্ষমা অনেকেই চাইছেন। কিন্তু বারবার ক্ষমা করা যায় না। মদন ক্ষমা চেয়েছে, উদয়ন বারবার নানা কথা বলছে।
তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশেই রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলের পরিষদীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান অন্যায় ভাবে আটকানো হয়েছিল বালুকে। ওর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ নেই। এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।
দিল্লি নির্বাচন নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন কংগ্রেস সমর্থন করলে এই অবস্থা হত না। বাংলায় টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে আমরাই ক্ষমতায় আসব। বাংলায় কাউকে দরকার নেই। দিল্লিতে কংগ্রেস আপকে জায়গা ছাড়েনি। আর হরিয়ানাতে আপ কংগ্রেসকে জায়গা ছাড়েনি। যদি উভয় ক্ষেত্রে বোঝাপড়া হতো তাহলে এই বিপর্যয় হতো না।
মমতা এদিন বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার নিজের কোন পরিবার নেই। আপনারাই আমার পরিবার। দলে সকলকে একসঙ্গে চলতে হবে। প্রকাশ্যে মুখ খোলা যাবে না। একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের রণনীতি তৈরি করতে গিয়ে বুথ ও ব্লক লেভেলে পরিবর্তন আনা হবে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন বিধায়কদের বুথ এবং ব্লক কমিটিতে তিনটে করে নাম দিতে হবে। ২৫ তারিখের মধ্যে নাম জমা দিতে হবে অরূপ বিশ্বাসের কাছে। আমি দেখে নেব।
দলটা আমি দেখে নেব। ইমএলএদের কাছে বুথ ও ব্লক সাজেশন চাইলে মুখ্যমন্ত্রী। বললেন প্রত্যেকে একটা করে ফাইল জমা দিন। আমি দেখে নেব।
তবে দলীয় নেতৃত্বদের ভূল নিয়ে কড়া হুশিয়ারি সুপ্রিমোর। তিনি বলেন, বারবার ভুল করলে ছাড় নয় । স্পষ্ট বার্তা মদন মিত্র, হুমায়ুন কবীর, নারায়ণ গোস্বামীদের উদ্দেশ্যে বার্তা।
নারায়ণ গোস্বামী কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অগ্রাহ্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।