বঙ্গবার্তার বিশেষজ্ঞ
আমরা সকলেই জানি বাসক পাতা সর্দি কাশিতে অব্যর্থ কাজ করে। বাসক পাতার রস মধু দিয়ে খেলে অনেক পুরনো কাশিও কমে যেতে বাধ্য। বর্তমান সময়ে অনেক কাশির সিরাপ বেরিয়েছে কিন্তু আগে কালের মানুষরা এই গাছ-গাছড়ার উপরেই বিশ্বাস করতেন এবং তা ফলও দিত। আজও বাসক পাতার গুণ এবং সমৃদ্ধ একটুও মিলিয়ে যায়নি। তাই সর্দি কাশি হলেই সঙ্গে সঙ্গে কফ সিরাপ না খেয়ে বাসক পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক পুরনো সর্দি কাশি কমবেই কমবে , চলুন দেখে নিই বাসক পাতার রস খেলে কি কি অসুখ কমে এবং বাসক পাতার উপকারিতা।সর্দি-কাশি উপশম: বাসক পাতা দীর্ঘদিন ধরে সর্দি-কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর রস শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে আরাম দেয় এবং কফ সহজে বের করে দেয়।
শ্বাসকষ্ট কমাতে: যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাদের জন্যও বাসক পাতা উপকারী। এটি শ্বাসনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে এবং শ্বাস প্রশ্বাস সহজ করে।
রক্ত পরিষ্কারক: বাসক পাতা রক্ত পরিষ্কার করতেও সহায়ক।
ত্বকের সমস্যায়: বাসক পাতা ফোঁড়া, চুলকানি, এবং অন্যান্য চর্মরোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
জ্বর কমাতে: বাসক পাতা জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
অন্যান্য: বাসক পাতা কৃমিনাশক এবং ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।
কিভাবে ব্যবহার করবেন : ২-৩টি বাসক পাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে রস বের করে নিন।
এই রস এক চামচ মধু দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে পান করুন।
এটি তেতো লাগলে, পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে নিতে পারেন।
যদি বাসক পাতার রস সরাসরি খেতে অসুবিধা হয়, তাহলে চায়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে, বয়সের অনুপাতে এই রস অল্প পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
অবশ্যই সতর্ক থাকবেন : অতিরিক্ত মাত্রায় বাসক পাতা সেবন করলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাসক পাতা গ্রহণ করা উচিত নয়।
যাদের এলার্জি বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে, তারা বাসক পাতা ব্যবহারের আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।