যদি সাধনায় উন্নতি করতে চাও -আর সে উন্নতিকে সর্ব্বতোমুখী করারই ইচ্ছা থাকে তা-হ’লে প্রথমেই নজর রেখো এমনতর অনুসন্ধিৎসার ভিতর দিয়ে সেবামুখর ইষ্টযাজন যা’তে তোমার সেবায় তোমার প্রতি-পারিপার্শ্বিক তার প্রয়োজন-পূরণে পুষ্টিলাভ ক’রে ইষ্টে উদ্বুদ্ধ হ’য়ে তা’তে অটুটভাবে অনুরক্তি লাভ করে।
আর এই যাজনের ভিতর দিয়েই দেখবে তোমার ইষ্টমনন বা ধ্যান এমনতরই প্রবল হ’য়ে উঠছে যাতে তোমার প্রত্যেকটি প্রবৃত্তি ইষ্ট-স্বার্থ-প্রতিষ্ঠা-পুষ্টিপন্ন না হয়েই থাকতে পাচ্ছে না। এমনতর ভাবেই ক্রমশঃই দেখতে পাবে তোমার প্রত্যেকটি বৃত্তি ও প্রবৃত্তি প্রত্যেকটি প্রত্যেকটিকে কেমনতর সার্থক করে তুলছে- আর সেগুলি অমনি ক’রেই ইষ্টের প্রতি অনুরক্তি -সূত্রেই যেন কেমন সুন্দরভাবে গ্রথিত হ’য়ে উঠছে।
তারপর এরই ভিতর দিয়েই তোমার নামধ্যান ইত্যাদি সাধনার সময় যখন তুমি নিরিবিলি-ভাবে ব’সে ও-সব কচ্ছ তোমার মাথায় যেমনতর যত চিন্তায় আসুক না কেন প্রতি-প্রত্যেকটিকেই বেশ ক’রে হিসাব-নিকাশ করে ইষ্টানুকূলে এনে তাঁর তুষ্টি, পুষ্টি ও প্রতিষ্ঠায় সমাধান ক’রে ফেলতে থাক-আর এই ক’রে তোমার ধ্যান,জপ ইত্যাদি যেই শেষ হ’য়ে এল অমনি সেগুলি যথাযথ যতদূর সম্ভব কর্মের ভিতর দিয়ে বাস্তব অভিব্যক্তি দিতে কিছুতেই ভুলে যেও না। দেখবে তোমার মস্তিস্ক কেমন তরতরে হ’য়ে দক্ষতা ও ক্ষিপ্রতার সহিত জ্ঞান ও কর্মের অধিবেশনে তোমাকে নিরন্তর উন্নত উপভোগের ভিতর দিয়ে বাস্তব উন্নতিতে নিয়ে চ’লছে।
এই এমনতরটি বাদ দিয়ে তুমি যতই সাধনা বা যা- কিছুই কর না কেন তুমি কিছুতেই প্রস্বস্তি লাভ করতে পারবে না -একথা অতি নিশ্চয়। ‘সত্যানুসরণ’