বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
রাজ্যের স্কুলের নিজস্ব লাইব্রেরী তে এবার থেকে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই। রাজ্যের স্কুল এডুকেশন কমিশনারের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
তবে স্কুল লাইব্রেরির জন্য এক লক্ষ টাকা করে অর্থ বরাদ্দ করছে সরকার। স্কুল তহবিলে সেই টাকা দেওয়া হবে। স্কুল গুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কয়েকশো বইয়ের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়ছেনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
তাদের ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের গৈরিকি করন অভিযোগ তোলেন। এই নির্দেশ তো হিটলারের স্তুতি করানোর মত।
কিন্তু সত্যি কি তাই? মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের আস্থা ভাজন মানুষরা বলছেন অন্য কথা। তাদের কথায়, দেশে আর একজন মুখ্য মন্ত্রী দেখাতে পারবেন যার এত ধরনের লেখা বই আছে। বই গুলির লেখা ছাড়া প্রচ্ছদ ও অনেক গুলি তারই করা। আর এর উদ্দেশ্য হলো কিশোর কিশোরীদের মধ্যে বাংলা লেখার প্রতি উৎসাহ দেওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই বিশেষ আস্থা ভাজনদের বলে থাকেন। তিনি সাহিত্যিক নন, বই লিখে পুরস্কার পাবার বা নাম কুড়াবার ইচ্ছেও তার কখনো ছিল না।
তবে তার অভাবের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠার লড়াইয়ে, তার কবিতা লেখা, গল্প বা প্রবন্ধ লেখা, মুখ্য মন্ত্রী হিসাবে তার বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও অনেককে অনুপ্রাণিত করার মতোই বলে দাবি করছেন মমতার শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের মধ্যে এক মহিলা লেখিকা ও নাট্যকার দাবী করলেন তার লেখা ছড়া খুব ফ্ল্যাট বা সোজা সাপ্টা। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য
তরুণদের মধ্যে সাহিত্যের নকল
নবিশি ছুঁড়ে ফেলে মনের ভাব প্রকাশে তারা এগিয়ে আসুক, অনুপ্রাণিত হোক এই ভেবে যে শত ব্যস্ততায় সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, স্কুল গুলিতে তার লেখা বই কেনায় যাতে করো কোনো আপত্তি না ওঠে তাই বই কেনার জন্য স্কুল গুলিকে টাকাও দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
যার উদ্দেশ্য সাহিত্য চর্চা শুধু
শিক্ষিত ধোপ দুরস্ত কেতাবি মানুষদের একচ্ছত্র আধিপত্যের সাম্রাজ্য নয়, তা সকলের। কারণ
মমতা যদি পারেন তবে তারাও পারবেন কারন তিনি যে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, সবার দিদি। মমতাও চান প্রান্ত থেকে উঠে আসুক তার মতই কোনো অনামী লেখক যিনি হাততালি আর প্রশংসার তোয়াক্কা করবেন না।
লিখে যাবেন নজরুলের মত সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
স্কুলের লাইব্রেরীতে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই, নির্দেশিকা সরকারের
