▪️নাম – যশ▪️

অমৃত কথা

নাম-যশের আশায় কোন কাজ করতে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু কোন কাজ নিঃস্বার্থভাবে করতে গেলেই কার্য্যের অনুরূপ নাম-যশ তোমার সেবা করবেই করবে।
ভুলেও নিজেকে প্রচার করতে যেও না বা নিজেকে প্রচার করতে কাউকে অনুরোধ করো না – তাহলে সবাই তোমাকে ঘৃণা করবে, আর তোমা হতে দূরে সরে’ যাবে।
নাম-যশ আত্মোন্নয়নের ঘোর অন্তরায়। তোমার একটু উন্নতি হলেই দেখবে কেউ তোমাকে ঠাকুর বানিয়ে বসেছে, কেউ মহাপুরুষ বলছে, কেউ অবতার, কেউ সদগুরু ইত্যাদি বলছে, আবার কেউ শয়তান, বদমায়েশ,কেউ ব্যাবসাদার ইত্যাদি বলছে। সাবধান! তুমি এদের কারও দিকে নজর দিও না। তোমার পক্ষে এরা সবাই ভূত, নজর দিলেই ঘাড়ে চেপে বসবে, তা ছাড়ানও মহামুস্কিল। তুমি তোমার মত কাজ করে যাও, যা-ইচ্ছে তাই হোক।
নাম-যশ ইত্যাদির আশায় যদি তোমার মন ভক্তের আচরণ করে, তা হলে মনে কপটতা লুকিয়ে রয়েছে – তৎক্ষণাৎ তাকে মেরে বার করে দাও, তবেই মঙ্গল নতুবা সবই পণ্ড হবে।
ঠাকুর, অবতার কিম্বা ভগবান ইত্যাদি হবার সাধ গেলেই তুমি নিশ্চয় ভণ্ড হয়ে পড়বে আর তাতে মুখে হাজার বল্লেও কাজে কিছুই করতে পারবে না। যদি ওরূপ ইচ্ছা থেকে থাকে, তবে এখনি ত্যাগ কর, নতুবা অমঙ্গল নিশ্চয়।
তুমি যেমনতর প্রকৃত হবে, প্রকৃতি তোমায় তেমনতর উপাধি নিশ্চয় দেবেন এবং নিজের ভিতরে তেমনতর অধিকারও দেবেন – ইহা নিজে প্রত্যক্ষ কচ্ছ তবে আর চাইবে কি! প্রাণপণে প্রকৃত হতে চেষ্টা কর। পড়ে না পাশ করলে কি ইউনিভারসিটি কাউকে উপাধি দিয়ে থাকে? ‘সত্যানুসরণ’