বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জাতির উদ্দেশে তার ভাষণে এক দেশ, এক ভোট ধারণার পক্ষে জোরালো সমর্থন জানালেন। তিনি একে সুশাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে অভিহিত করেন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য অনুযায়ী, এই নীতি শুধুমাত্র প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক ভার কমাবে এবং সম্পদের বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বড় কোনও সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এক দেশ এক ভোট সেই ধরনেরই একটি সাহসী পদক্ষেপ। রাষ্ট্রপতির মতে, এই নীতি কার্যকর হলে প্রশাসনিক কাজকর্মে গতি আসবে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত খরচ কমবে।
প্রধানমন্ত্রী বহুবার এক দেশ এক ভোটের কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করেছেন। এক দেশ, এক ভোট এর জন্য গঠিত প্যানেলের প্রধান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এর সাংবিধানিক বৈধতার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে ভোট গ্রহণের রীতি ছিল।
এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে মোদী সরকারের ভারতীয় ন্যায়সংহিতা প্রবর্তনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে ভারত একটি স্বাধীন এবং প্রগতিশীল ন্যায়ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য আইন সংস্কারকে তিনি সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেশবাসীর সামনে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কারের বার্তা নিয়ে এল। তাঁর কথায়, “এমন বড় সংস্কার শুধু দেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে না, বরং দেশের আর্থিক ভার লাঘব করে সুশাসনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”