পীযূষ চক্রবর্তী,
অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এমনই দাবি সিবিআইয়ের। আর এই অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা তুলত প্রতি জেলা থেকে অন্ততপক্ষে ১২ থেকে ১৪ জন। প্রতিটি জেলায় দুই বা তিনজন মাথায় থাকতো। তারা অবশ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ওই ব্যক্তিদের অধীনে কাজ করত ৮ থেকে ১০ জন এজেন্ট। মূলত ওই এজেন্টরাই সেতুবন্ধনের কাজ করত। তারাই জেলায় মাথায় থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে ওই অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে যেত। তার আগে অবশ্য তাদের বায়োডাটা জমা নেওয়া, অগ্রিম কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া সহ অনেক কাজই ওই এজেন্টরা করে ফেলত। তারপর তারা জেলার ও নেতাদের কাছে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে যেত। সেখানেই সম্পূর্ণ রফা হত।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতারা অবশ্য নিজেদের বাড়িতেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন। কথা বলার সময় তারা নিজেদের বাড়ির সিসিটিভি বন্ধ করে রাখতেন। শুধু তাই নয়, কথা বলার সময় এজেন্ট বা অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ফোনের সুইচ অফ করে রাখতে বলা হত। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩০০ জন এজেন্ট কাজ করেছে বলে সিবিআই জেনেছে। ওই এজেন্টদের অনেকেই শুধুমাত্র প্রাথমিক নিয়োগেই নয়, পঞ্চায়েত দফতর, পুরসভা, পরিবহন দফতর এমনকি সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগেও জড়িত ছিল।
সিন্ডিকেট তৈরি করে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, দাবি সিবিআইয়ের
