Upload By K. Halder at 12th March 2025, 08:13 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
একশ দিনের কাজ থেকে শুরু করে চাকরি বাতিল সবেতেই বিজেপির যোগ দেখছেন তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের পর থেকেই চাকরি হারারা আন্দোলনে নেমেছে। এই অবস্থায় তাদের একাংশ রাজ্য সরকারকেও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি হারানোর জন্য দায়ী করছেন। রায়ের পর থেকে এ পর্যন্ত চুপ ছিলেন তিনি। শনিবার খড়দহে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধনে এসে রাজ্যের মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদে পদে হেনস্থার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দায়ী করলেন অভিষেক । ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে চাকরি হারানো। সব ক্ষেত্রেই একবারে প্যানেল ধরে যেভাবে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাতে একই অনুসঙ্গ দেখছেন তিনি। যদিও সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন আদালতকে তারা সম্মান করেন। তবে বৃহৎ সংখ্যক মানুষের স্বার্থ যেখানে জড়িয়ে এই অবস্থায় সেই অবস্থায় রায় নিয়ে সমালোচনা করছেন।
অভিষেক বলেন, যখন উন্নয়নের পথে আমাদের পরাস্ত করতে পারছে না, তখন ধর্মের নামে সমাজকে ভাগ করে বাংলাকে অস্থির করার চক্রান্ত করছে কেউ কেউ। আমি সকলকে অনুরোধ করব শান্তি বজায় রাখুন, বাংলার ঐতিহ্য, সৌহার্দ্য ও সংহতি রক্ষা করুন। আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কেউ চায় বাংলায় আগুন জ্বলুক, কেউ চায় রাজ্যের অর্থ আটকে মানুষকে অনাহারে মরতে হোক। কিন্তু যতদিন আমাদের সরকার রয়েছে, ততদিন কেউ বাংলার একজন মানুষকেও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আগেও কেন্দ্র নানা অজুহাতে টাকা আটকে রেখেছে, কিন্তু আমরা মানুষকে লড়ে পাইয়ে দিয়েছি।
চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বিচারব্যবস্থাকে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি তা পক্ষপাতহীন। তবে কোনও রায় যদি কারও পছন্দ না হয়, তা নিয়ে মত প্রকাশ করার অধিকার সংবিধান দেয়। আমি মনে করি এই রায় বিজেপির বাংলা-বিরোধী মানসিকতার প্রতিফলন। কয়েকজনের ভুলের দায়ে ৫৯ লক্ষ কাজের কার্ডধারীর টাকা আটকে দেওয়া, অথবা অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও আবাস যোজনার মতো প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া এসব একতরফা বঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, যদি ধরেও নেওয়া যায় যে কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর মধ্যে কিছু অনিয়ম হয়েছে, তাহলে তার জন্য সতেরো হাজার প্রকৃত প্রাপকের চাকরি কেড়ে নেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয়। যারা প্রকৃত দোষী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু সমস্ত প্রার্থীকে একজোট করে শাস্তি দেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে বলেন, বৃহৎ সংখ্যক নির্দোষের উপর তার প্রভাব নিয়েই শাসক দলের গভীর আপত্তি রয়েছে। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ভঙ্গিতেই উঠে এল শীর্ষ নেতার বার্তা তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পাশে রয়েছে।
