Published By Subrata Halder, 07 May 2025, 09:08 pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বাস কখন আসবে, কত দূরে আছে, এবার উত্তর মিলবে অ্যাপেই। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে ‘হয়্যার ইজ মাই বাস’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ খুব জলদি চালু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে চালু হবে এই অ্যাপের পাইলট প্রকল্প।
নতুন এই অ্যাপ থেকে যেমন যাত্রীরা বাসের অবস্থান জানতে পারবেন, তেমনই বাসচালকদের গতিবিধিও নজরে রাখতে পারবে পুলিশ। ফলে, অধিক গতিতে বাস চালিয়ে দুর্ঘটনার প্রবণতাও কমবে বলে আশাবাদী পরিবহণ দফতর।
বুধবার অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস কো-অর্ডিনেশন কমিটির এবিবিএমসিসির রাজ্য সম্মেলনে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, এই অ্যাপ চালু হলে যাত্রীরা নির্দিষ্ট স্টপে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারবেন, কতক্ষণ পরে বাস আসছে। পাশাপাশি, চালকদের উপর পুলিশের নজরদারি থাকায় অতিরিক্ত গতির প্রবণতাও কমবে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। শীঘ্রই অ্যাপটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্টপেজে। অ্যাপের মাধ্যমে বাসচালককে যাত্রা শুরুর আগে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। তার পর সেই বাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পৌঁছে যাবে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি শাখায়। পরিবহন
মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্যে একটি স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসি ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বাসের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারিত রয়েছে। তিনি বলেন, “নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চললে বাস দুর্ঘটনা অনেকটাই কমানো সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই পরিবহন দফতর এগোচ্ছে।
এদিন সভায় পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন জানান, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি শুরু হয়। তার ফলে রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। কিন্তু এরপরেও রাজ্য চাইছে এই সংখ্যাটাকে শূন্যে নামিয়ে আনতে। এক্ষেত্রে বাসের দ্রুত চালানোর প্রবণতা বহু ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ হয়। মূলত সে কথা মাথায় রেখে এই দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তার দাবী ২০১৬ র আগে প্রতি বছর রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারের বেশি, মৃত্যু হত প্রায় ৭ হাজার মানুষের। এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে যথাক্রমে ১৩ হাজার এবং ৬ হাজারে।
কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে যেখানে জনসংখ্যা ৩.৫ কোটির কাছাকাছি, সেখানে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষের। অথচ, ১০ কোটির রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে এভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার অনেকটাই কম। তবু উন্নতির জায়গা এখনও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলাওয়ারি ভাবে চালকদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করবে দফতর।
পরিবহণ কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, সমাজিক সুরক্ষা যোজনা বা এসএসওয়াই প্রকল্পে পরিবহণ কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করতে তার দফতর সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে। এক্ষেত্র সব ধরনের সাহায্য করতে তৈরি তার দপ্তর। এবিবিএমসিসি-র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন