বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
দিন চারেক আগেই সরকার ঘোষণা করেছিল জাতীয় গেমসে জিতলে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু যাত্রা শুরুতেই দেখা গেলো চরম অব্যবস্থার চিত্র।
টানা ৩৬ ঘন্টার ট্রেন জার্নিতে পুরোটাই মেঝতে শুয়ে কাটাতে হল বাংলার খো-খো দলের খেলোয়াড়দের। উত্তরাখণ্ডে আয়োজিত জাতীয় গেমসে যোগ দিতে গিয়ে বাংলার ক্রীড়াবিদদের এই চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। মঙ্গলবার ২৮ তারিখ থেকে উত্তরাখণ্ডে শুরু হচ্ছে জাতীয় গেমস। গতবার এই গেমসে বাংলার স্থান ছিল অষ্টাদশ। এবার তারা ভাল দল নিয়েই গিয়েছে। সেই খেলোয়াড়দের সঙ্গেই এই ধরণের অব্যবস্থা কী করে হল, তার জবাব পাওয়া যাচ্ছে না।কর্মকর্তাদের এ ওর দিকে দায় ঠেলতে ব্যস্ত। এর থেকেই বোঝা যায় কর্মকর্তারা কতটা দায়িত্বশীল।এর পরেও তাঁরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ভালো ফলের আশা করেন কীভাবে সেই প্রশ্নও উঠছে।
শনিবার হাওড়া থেকে সকাল দশটা নাগাদ ট্রেনে চেপে জাতীয় গেমসে যোগ দিতে রওনা হয় বাংলা দল। সেই দলে খো-খো, সাঁতার এবং মহিলা ফুটবলাররা ছিলেন। কিন্তু চরম অব্যবস্থার শিকার হতে হয় খো-খো খেলোয়াড়দের। তাঁদের জন্য কোনও রিজার্ভেশন ছিল না। ৩৬ ঘন্টার পথের পুরোটাই তাঁদের ট্রেনের মেঝেতে এমনকি বাথরুমের সামনে শুয়ে যেতে হয়েছে। সোমবার সকাল দশটায় কাঠগোদামে গিয়ে যাত্রা শেষ হয়।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এর দায় কার? রাজ্য সরকার সমস্ত খেলোয়াড়দের ৩৯৫ জনকে জার্সি এবং সরঞ্জাম দিয়েছে। এছাড়াও যাতায়াতের জন্য দিয়েছে তেত্রিশ লাখ টকা। তারপরেও কেন খেলোয়াড়দের যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত করা গেল না। এর দায় কার? সাধারনত খেলোয়াড়দের এই বিষয়গুলি দেখার কথা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের। এখনও পর্যন্ত তাঁরা এই নিয়ে মুখ খোলেন নি।