Upload By K. Halder at 18th March 2025, 04:52 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ইউনেস্কোর মেমরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান করে নিল প্রাচীন ভারতের শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ও ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্র। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা ইউনেস্কোর ‘মেমরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ গোটা বিশ্বের প্রাচীন ঐতিহাসিক লেখ্য, পাণ্ডুলিপিকে স্বীকৃতি দেয়। ইউনেস্কোর এই রেজিস্টার হল সেই তথ্যপঞ্জী যেখানে গোটা পৃথিবীর ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, পান্ডুলিপি ও দলিল যেগুলো যুগে যুগে মানব সমাজকে প্রভাবিত করে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, গীতা ও নাট্যশাস্ত্রের এই স্বীকৃতি আমাদের চিরন্তন জ্ঞান ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বৈশ্বিক মূল্যায়ন। এই গ্রন্থগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সভ্যতা ও চেতনাকে লালন করেছে। তাদের গভীর দর্শন আজও বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করছে।
ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির সুসংবাদ এক্স হ্যান্ডেলে দেশবাসীকে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।

এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের রেজিস্টারে আমাদের দেশের ১৪টি প্রাচীন পুস্তক ঠাঁই পেল। শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় ১৮টি অধ্যায়ে ৭০০টি শ্লোক রয়েছে, যা মহাভারতের ভীষ্মপর্বের অধ্যায় ২৩-৪০ অন্তর্গত। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রাক্কালে হতাশাগ্রস্ত অর্জুনকে উদ্দীপ্ত করতে শ্রীকৃষ্ণের দেওয়া উপদেশই এই গ্রন্থের মূল বিষয়। অন্যদিকে ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র, যা খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত বলে ধরা হয়। ৩৬,০০০ শ্লোকবিশিষ্ট এই গ্রন্থটি নাট্যবেদ বা গান্ধর্ববেদ নামেও পরিচিত।