Published By Subrata Halder, 24 May 2025, 03:20 p.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ের গলায় শোনা গেলো তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশংসা। শুধু প্রশংসাই নয়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তুলনায় অভিষেকের ভূমিকা ভালো বলছেন তথাগত বাবু। ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছেন, বিদেশে যখন গিয়েছেন তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি এই বলে সাধুবাদ দেব, উনি অন্তত রাহুল গান্ধীর থেকে বেশি বুদ্ধিমান। রাহুল গান্ধী এমন একটা লোক যিনি বিদেশে গিয়ে বিদেশের মাটি ছোঁয়ার থেকে ভারতকে গালাগালি করা পছন্দ করে। এইটুকু চৈতন্য পর্যন্ত তার নেই, বিদেশের মাটিতে অন্তত দেশকে বদনাম করা উচিত নয়। অভিষেক অন্তত সেদিক থেকে বুদ্ধিমান। এক্ষেত্রে তাকে এটুকু সাধুবাদ আমি দেব। অন্য অনেক প্রশ্ন আছে সেসবের মধ্যে আমি যাচ্ছি না। যারা এই মুহূর্তে বিদেশে গিয়েছেন তাদের একটা জিনিস আমি দেখছি সকলের এই জিনিসটা আছে এই মুহূর্তে আমাদের সবাইকে এক সুরে কথা বলতে হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে এই প্রশংসাকে কিভাবে দেখছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, উনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চৈতন্য দেখছেন। আমি তো দেখছি দাদুর চৈতন্য হয়েছে। আজকে ওনারা একথা বলছেন। তবে উনি বা ওনার দলের এই কথা তখন মনে ছিল না! যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশের মাটিতে একটি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন। বিজেপি এবং সিপিএমের লোকেরা কিভাবে তাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিল। তিনি কি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না ? তিনি কি তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন না ?
দেবাংশু ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় বলেন আমরা তথাগত রায় বা বিজেপির থেকে কোন সার্টিফিকেট চাই না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার থেকে ভালো কার থেকে খারাপ তা ঠিক করার দায়িত্ব কেউ তাকে দেয়নি। ওনার কোন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ইউসুফ পাঠানের উপর ভরসা রাখতে পারলেন না তখন আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পাঠিয়ে দিলাম। এটাই প্রমাণ করে কেন্দ্রীয় সরকার অনেক বেশি খোলামেলা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গতকাল নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেক বেশি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার চলে, যাতে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক ভালো থাকে। এই চেষ্টা সবাইকেই রাখতে হবে। তা না হলে তো সংঘাত বাড়বে।
তাতে রাজ্যেরই ক্ষতি হবে বলে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।