বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সাতসকালে আহেরীটোলা উদ্ধার ঘাটে ট্রলি ব্যাগে রাখা রক্তাক্ত মৃতদেহ। দুই মহিলা একটি ভারি ব্যাগ গঙ্গায় ফেলতে আসার সময় স্থানীয়েরা দেখেন। সেই ব্যাগ খুলতেই এক মহিলা রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে চোখ কপালে ওঠে স্থানীয়দের। অভিযোগ, দুই মহিলা ওই মৃতদেহ সহ ব্যাগটি গঙ্গায় ফেলার জন্য এসেছিল। তাঁরাই নর্থ পোর্ট থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষকে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যাগে এক প্রৌঢ়ার দেহ ছিল। মৃতের নাম সুমিতা ঘোষ। তিনি ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ী।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ আহেরীটোলা ঘাটের সামনে ঘটনাটি ঘটে। নর্থ পোর্ট আউটপোস্টের ১০০ মিটারের আবর্জনার স্তূপের কাছে ওই ব্যাগটি চোখে স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, ব্যাগটি এতটাই ভারী ছিল যে দু’জনে মিলে টেনে নিয়ে যেতে পারছিলেন না। তাঁদের প্রথমে সন্দেহ হয়। তাঁরা ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই দুই মহিলা স্থানীয়দের বলেন ব্যাগে বাড়ির পোষ্যের মৃতদেহ রয়েছে। এতেই সন্দেহ বাড়ে স্থানীয়দের। বিক্ষোভের মুখে ব্যাগ খুলতে বলেন তাঁরা। তারপরই চোখ কপালে ওঠে স্থানীয়দের। ওই ব্যাগে ছিল এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ। তাঁরা নর্থ পোর্ট থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফাল্গুনী এবং আরতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেখানেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
লালবাজার জানিয়েছে, যে মৃতদেহটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে, তিনি ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি। নাম সুমিত ঘোষ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে খুন করা হয়েছে। এর পর তাঁরা সারা রাত দেহ লোপাট করার জন্য ওই জেলার একাধিক জায়গায় এবং প্রিন্সেপঘাট হয়ে শেষে আহেরীটোলা ঘাটে এসেছিলেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটিকে পাঠিয়েছে। ফাল্গুনী এবং অনিতা এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গঙ্গার ঘাটে ট্রলি ব্যাগে মহিলার মুন্ড কাটা দেহ
