Upload By K. Halder at 20th March 2025, 06:11 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বামেদের চারটি গণসংগঠনের ডাকে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে মানুষের ঢল নামে। সেই জমায়েতের দিকে ইঙ্গিত করে সি পি এমদের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, যাঁরা দূরবীণ দিয়ে লাল ঝান্ডা খুঁজে পাচ্ছিলেন না, এই ভীড় তাঁদের বুকে কাঁপন ধরাবে। তিনি বলেন দেশ এবং রাজ্যকে বাঁচাতে হলে লাল ঝান্ডাকে আবারও মজবুত করতে হবে। তিনি বলেন কী কেন্দ্র কী রাজ্য কোথাও চাকরি হচ্ছে না। তার ওপর রাজ্য সরকারের দুর্নীতির ফলে ২৬ হাজার মানুষের চাকরি এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
এদিন সেলিম তাঁর বক্তব্যে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক হিংসার কথা উল্লেখ করেন। সেলিম বলেন, তিনি সেখানকার শামসেরগঞ্জ, সূতি এবং ধুলিয়ানে গিয়েছিলেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে এসেছেন। তিনি বলেন সবার কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে এসেছি।
এদিনের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে সিটু নেতা অনাদি সাহু বলেন, মোদী সরকার দেশে নয়া শ্রম বিধি লাগু করেছে। তার বিরুদ্ধে সমস্ত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে। তিনি বলেন এই শ্রম বিধি রোখা না গেলে মানুষ তার সমস্ত অধিকার হারাবে। কাজের সময় ৮ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা হয়ে যাবে। মালিকরা যাখন খুশি চাকরি ছাঁটাই করতে পারবে। তিনি বলেন কোথাও চাকরি নেই। আর রাজ্যে চাকরি চলে যাচ্ছে। ২৬ হাজার শিক্ষকের পর ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
কৃষক নেতা অমল হালদার বলেন, আগামি দিনে মানুষ ভাত পাবে কিনা সন্দেহ। যে ভাবে চাষের জমি সংকুচিত হচ্ছে, তাতে এই আশংকাই বড় হয়ে উঠছে। কৃষকরা জমি বন্ধক দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তা৬রা সার পাচ্ছেন না। জিনিষ পত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে।
সন্দেশখালির নিরাপদ সর্দার বলেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ রাজ্য সরকার চুরি করছে। তিনি দাবি করেন একশ দিনের নয় বছরে ২০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন পড়াশোনা করে রাজ্যের যুবকরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন এঁদের নিয়ে সংসদে বা বিধানসভায় আলোচনা হয় না। কিন্তু সাংসদদের বেতন বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়।
বস্তি সংগঠনের নেতা সুখরঞ্জন দে বলেন, আগামী দিনে বস্তি সংগঠন রাজ্যের গণ আন্দোলনে বড় ভূমিকা নেবে।তিনি বলেন বস্তিবাসীরা আগামী দিনে শহরে থাকতে পারবে কিনা তা ঠিক নেই। তিনি দাবি করেন বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে বিদ্যুত দিতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে বস্তির মানুষদের জন্য স্বত্ত এবং পাট্টা দিতে হবে বলেও দাবি তোলেন তিনি।
বন্যা টুডু বলেন, ছাব্বিশে আমরা উইকেট ফেলে দেব। ওরা বলে খেলা হবে। আমরা বলছি ২৬শে আমরা খেলে দেব। তিনি বলেন খেতমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের লড়াইয়ের কথা শহরের মানুষ জানেন না। আমাদের লড়াই করে যেতে হবে। তিনি ১০০ দিনের জায়গায় ২০০ দিনের কাজের দাবি তোলেন।
এদিকে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বামেদের ব্রিগেড সভা আসলে হাঁসজারু ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন বামেদের সভায় যত মানুষ এসেছেন তার মধ্যে বিজেপির লোক আছে। কুণাল বলেন, ব্রিগেড ভরানো এক কথা আর ভোট বাক্স ভরানো আরেক কথা। এদিন ব্রিগেডে যত মানুষ এসেছেন এঁরা ফিরে গিয়ে বিজেপিকেই ভোট দেবে। বামেরা শূণ্য ছিল, শূন্যই থাকবে।