পীযূষ চক্রবর্তী,
রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে জাল নথি দিয়ে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যা নিয়ে সোচ্চার একাধিক বিরোধী দল। সম্প্রতি জাল নথি তৈরি করে বাংলাদেশের বাসিন্দা এক মহিলা মালদহের একটি পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে কাজ করার বিষয় সামনে এসেছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিশেষ তদন্ত। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থাতেও বেশ কিছু কর্মী রয়েছেন যারা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ। সিআইএসএফ, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার ফোর্স (আইটিবিপি), অসম রাইফেলস, বিএসএফ, এসএসবি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বাহিনীতেও বেশ কয়েকজন কর্মী ভুয়ো নথি জমা দিয়ে চাকরি করছেন। ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ জমাও পড়েছে। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ওই পাঁচটি কেন্দ্রীয় সংস্থায় প্রায় ৩০ জন কর্মী ভুয়ো নথি জমা দিয়ে চাকরি করছেন বলে জানতে পেরেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সেই কারণেই আইটিবিপি, অসম রাইফেলস, বিএসএফ, এসএসবি, সিআইএসএফের মতো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় চিঠি পাঠালো সিবিআই। গুরুত্বপূর্ণ ওই পাঁচ সংস্থার ওই ৩০ জন কর্মী কী নথি জমা দিয়েছেন, তার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্য সরকারের মহকুমা শাসকের অফিস এবং যারা এসসিএসটি সার্টিফিকেট তৈরি করে তাদের কাছ থেকেও চাওয়া হয়েছে তথ্য। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরের প্রাক্তন মহকুমা শাসককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একজনকে গ্রেফতার করেছে। কারা জাল নথি বানিয়ে চাকরি পাইয়ে দিত তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি কাণ্ডে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি সিবিআইয়ের
