আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

পীযূষ চক্রবর্তী ,
ফের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার পরিবারের। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তখনই তার কাছে এক সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের আশ্বাস দেন, ওই তথ্য যথাস্থানে তিনি জানাবেন।
আরজি কর মামলায়
সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বারবার। আদালতেও বেশ কয়েকবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এবার বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্তকে সামনে পেয়ে ফের সেই অভিযোগ তুলে ধরলেন তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাদের সেই অভিযোগ উপযুক্ত স্থানে পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দেন সুকান্ত।
সিবিআইয়ের তদন্তে তাঁরা যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সেকথাও বারবার বলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সুকান্তকে তারা বলেন, তদন্তের স্বার্থে সঞ্জয় রায়ের বেঁচে থাকা জরুরি। কিন্তু সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে রাজ্য সরকার এবং সিবিআই দুজনেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। যা ভালো চোখে দেখছেন না নির্যাতিতার বাবা-মা। তদন্তে বেশ কিছু খামতির কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে শিয়ালদহ আদালতের রায়ে। নির্যাতিতার পরিবার মনে করছে, এই খামতির জন্য মূলত এক জন আধিকারিকই দায়ী। সুকান্ত জানান, এক জন আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে আমাকে জানিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলব না।
এদিকে এদিনই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীকে বদলি করা হয়েছে। সন্দীপের স্ত্রী মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সংগীতা ঘোষকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।