Published By Subrata Halder, 23 May 2025, 01:13 a.m.
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এইনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের তাঁদের দেশে ফেরৎ পাঠাতে হবে। এই কারণে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে দিল্লি। সূত্রের খবর, একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফ এবং অসম রাইফেলসকেও। বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত পাহারা দিয়ে থাকে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে সন্দেহজনক বাংলাদেশী এবং মায়ানমারের বাসিন্দারা যারা নিজেদের ভারতের বাসিন্দা বলে দাবি করে, তাদের তিরিশ দিনের মধ্যে নথিপত্র পরীক্ষা করে দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের মূলত রোহিঙ্গা জাতির মানুষ ভারতে নানা প্রান্তে রয়েছে। ভারত সরকার তাদের শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃতিও দেয়নি। কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে রোহিঙ্গা জনজাতির মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিকড় গেড়েছে। অন্যদিকে,বাংলাদেশের বহু মানুষ আইনি ও বেআইনি পথে এসে আর ফিরে যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
দুসপ্তাহ হলো ভারত সরকার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের সেদেশে ফেরৎ পাঠাতে শুরু করেছে। গুজরাট থেকে ৭৮ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতের উপকূল রক্ষী বাহিনী। গুজরাট সরকার ইতিমধ্যেই ছয় হাজারের বেশি সন্দেহজনক বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে। তারা নিজেদের ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দা বলে মিথ্যা দাবী করেছে। তাদের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। নথিপত্র দিয়ে ভারতীয় প্রমাণ করতে না পারলে তাদের ফেরৎ পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট শ্রীলঙ্কার এক নাগরিকের এদেশে আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে, এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। ভারত কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি। এই আবহে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ কতটা তৎপরতার সঙ্গে পালন করে প্রশ্ন সেখানেই।