বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ডিভিসি জল ছাড়ছে, বাংলা ডুবছে অথচ কেন্দ্রীয় সরকার নীরব। আবারও ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার নবান্নে দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন সেচ, পঞ্চায়েত, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ডিভিসি রাজ্যের কথা শোনে না।তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন, সেচ দসফতরকে জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে এই দাবী করেছেনবলেছ কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ করেনি।
এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি, ত্রাণ ও উদ্ধার নিয়ে প্রশাসনকে সক্রিয় হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও সহযোগিতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কথায়, আসম বন্যায় টাকা পায়, বাংলা পায় না। গঙ্গা ভাঙনে টাকা নেই, নদীভাঙনেও টাকা বন্ধ। কয়েকটা জেলাকে পুরো ডুবিয়ে দেওয়ার পরেও যদি কেন্দ্র সাহায্য না করে, তাহলে বুঝতে হবে, ভোটের সময় ছাড়া ওদের বাংলার কথা মনে পড়ে না।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ১৮ ই জুন থেকে আজ পর্যন্ত ডিভিসি ২৭ হাজার লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছেড়েছে। তার বক্তব্য, কেউ নিজেকে বাঁচাতে জল ছেড়ে দিচ্ছে, আর বাংলা ডুবে যাচ্ছে। এটা ১৫ বছর ধরে চলছে। যদি পলি তুলত ঠিকমতো, তাহলে আরও ৪ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারত। কিন্তু কেউ দায় নিচ্ছে না। এই জলছাড়ার ফলে ঘাটাল, খানাকুল, কেশপুর, ঝাড়গ্রাম, চন্দ্রকোনা, পাঁশকুড়া, গোঘাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ত্রাণশিবিরে খাবার, জামাকাপড়, ওআরএস, ওষুধপত্র, শিশু খাদ্য সবকিছু মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলোকেও কাজে লাগাতে বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে নিজেদের সেবা করলে চলবে না। প্রশাসনকে বলছি, মানুষ কিছু বলবে না, কিন্তু আপনি গিয়ে শুনুন, তাদের পাশে থাকুন। কারণ এটা শুধু দুর্যোগ নয়, এটা মানুষের বাঁচা মরার প্রশ্ন। মানুষ অসুবিধায় পড়ে অভিযোগ জানানোর আগে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।