Published By Subrata Halder, 08 May 2025, 11:55 am
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে কালোবাজারির সুযোগ না পায়, দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তা নিয়ে নবান্নে জরুরী বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই ঘোষণা করেন।
রাজ্য সরকারের তরফে যদিও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সেই টাস্ক ফোর্স সদস্যদের বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও উপস্থিত থাকার কথা। প্রশাসনের শীর্ষকর্তা এবং পুলিশ আধিকারিকরাও যোগ দেবেন এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শোনার জন্য।
টাস্ক ফোর্সের সদস্য এবং ব্যবসায়ী মহল জানাচ্ছেন, আপাতত রাজ্যে খাদ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল। ডাল, চিনি, তেল, মশলা কোনও কিছুরই ঘাটতি নেই। গরমেও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সব্জির জোগানও স্বাভাবিক। এই অবস্থায় আপাতত বাজার দর নিয়ন্ত্রণেই আছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিছু মধ্যসত্ত্বাভোগী নিজেদের আয় বাড়াতে এই সুযোগকে কাজে লাগায়। তা যাতে না হয়, তাই এই বৈঠক। আলুর দামে এবার চাপ কম থাকতে পারে । গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আলুর ফলন ভালো। তাদের দাবি, এ বছর রাজ্যের হিমঘরগুলিতে ৭৪ লক্ষ টনেরও বেশি আলু মজুত হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড। ইতিমধ্যেই হিমঘর থেকে আলু বাজারে আসা শুরুও হয়েছে। বেশি মজুত থাকায় দাম বাড়িয়ে মুনাফা করার সুযোগ নেই বলেই মত ব্যবসায়ীদের। তাদের মতে হিমঘর থেকে সাধারণ জ্যোতি আলু ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে ছাড়া হচ্ছে। খুচরো বাজারে সেই আলুর দাম ২২ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। চন্দ্রমুখী ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দামেও স্বস্তি রয়েছে। রাজ্যে ভাল ফলন হওয়ায় বহু জায়গায় ২০ টাকারও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজারে। তবে বাজারে চালের দাম কিছুটা বেশি, বিষয়টি টাস্ক ফোর্সের সদস্যদেরও নজরে এসেছে। সে ক্ষেত্রে আজকের আলোচনায় চালের দাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। টাস্ক ফোর্সের একাধিক সদস্যও মনে করছেন, চালের দামের উপর কড়া নজর রাখা জরুরি।
সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং বাজারদর যাতে হাতের বাইরে চলে না যায় তাই প্রশাসনের এই জরুরী বৈঠক।