পীযূষ চক্রবর্তী ,
স্যালাইন কাণ্ডের জট কাটাতে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করছে সিআইডি। আগেই মেদিনীপুর হাসপাতালে গিয়ে কয়েকজন চিকিৎসককে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। দিন তিনেক আগে ভবানী ভবনে ডেকে ওই হাসপাতালের আরও দুই চিকিৎসককে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এবার সোমবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আরএমও সৌমেন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। এদিন তাকে তলব করা হলে সময়মতো ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সৌমেন।
স্যালাইনের কারণে প্রসূতিমৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর বেশ কয়েকবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যায় সিআইডি। স্যালাইন দেওয়ার সময় কোন কোন চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালে তার খোঁজ নেন গোয়েন্দারা। এনিয়ে একাধিক জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে তারা কথা বলেন। বেশ কিছু তথ্যও জোগাড় করেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন যে দুই চিকিৎসক ডিউটি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে সেদিন আসেননি সেই হিমাদ্রি নায়েক ও দিলীপ পালকেও দিন দিন আগে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন নার্স, হাসপাতালের সুপার, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধানদেরও সঙ্গে কথা বলেছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। যে স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই স্যালাইনের নমুনাও ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। এবার আরএমও-কে জেরা করল সিআইডি।
গত ৮ ই জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ, রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় পরে এক সদ্যোজাত শিশুরও মৃত্যু হয়। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই স্যালাইন কাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সিআইডি তাই দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
স্যালাইন কাণ্ডে আরএমও কে ভবানী ভবনে জেরা সিআইডির
