Published By Subrata Halder, 19 May 2025, 08:52 pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
সম্প্রতি স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বা এসআরএস তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে মূলত প্রসূতি ও সত্যজত শিশু মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। সারাদেশেই এই সমীক্ষাকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় ।
সম্প্রতি যে রিপোর্ট তারা প্রকাশ করেছে তা ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের। অর্থাৎ পুরোটাই করোনা কালের । সেই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে প্রসূতি মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশ কিছুটা বেড়েছে। এর আগে যে এসআরএস সমীক্ষা রিপোর্ট বেরিয়েছিল তাতে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রসূতি মৃত্যুর হার ছিল ১০৩ । এবার সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ যা জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি। যেখানে জাতীয় গড় ৯৩।
তবে সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর পরিসংখ্যান সামান্য হলেও স্বস্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনকে। প্রতি এক হাজার সদ্যজাতের মধ্যে কজন মারা যাচ্ছে তা নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। সেই শিশু মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ আগের থেকে কিছুটা ভালো জায়গায় আছে।
মানে, আগে যেখানে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ১৯ এখন সেটি হয়েছে আঠেরো। এক্ষেত্রে জাতীয় গড় অবশ্য বেশ অনেকটাই বেশি। জাতীয় গড় হল ২৭। ২০১৯ থেকে ২১ আর্থিক বছরে বড় রাজ্যগুলির সেরার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এই শিশু মৃত্যু হারে প্রথম পাঁচের মধ্যে চলে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের আগের রয়েছে কেরালা, তামিলনাড়্, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক।
প্রসূতি মৃত্যুর হার বাড়ল কেন তা নিয়ে উদ্বেগে স্বাস্থ্য ভবন। তারা এর কারণ নিয়ে ঘরোয়া সমীক্ষা চালিয়েছে। দুটি বিষয় তাদের নজরে এসেছে। এক অত্যধিক সিজারিয়ানের সংখ্যা বাড়ছে। দুই ছোটখাটো লাইসেন্সবিহীন নার্সিংহোমে অজস্র গর্ভপাত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবনের কাছে এই কিশোরী বা প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গর্ভপাত সংক্রান্ত কোনো নথি নেই। সঠিকভাবে সেই তথ্য সরকারের কাছে আসে না। এই দুই কারণকেই প্রসূতি মৃত্যুর হার
বেড়ে যাবার কারণ বলে অনুমান
স্বাস্থ্য দফতরের।