বঙ্গবার্তা ব্যুরো, দিল্লী
ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া থেকে স্ক্রিনশট
হাতে আর মাত্র সময় ২৪ ঘন্টাও নেই। যদিও গতকাল সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি নিমিশার মৃত্যু দন্ড রধ করার জন্য কেন্দ্রের অপারগতার কথা স্বীকার করে নেন। যার কারণ ইয়েমেন কে কূটনৈতিক ভাবে স্বীকৃতি দেয় নি ভারত। তাই সরকারি স্তরে কিছু করার নেই।
ইয়েমেন সরকার জানিয়েছে, ভারতের কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদন্ড ১৬ ই জুলাই কার্যকর হবে। যদিও তার পরিবার এখনো তাকিয়ে ব্লাড মানি না রক্তের দামের বিনিময়ে মুক্তির দিকে। যার অর্থ হলো তালাল আব্দো মাহদির পরিবার কে রক্তের দাম নিতে রাজি করানো। যদিও সে ক্ষেত্রে রক্তের দাম কত হবে তা দুই পরিবারকে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে।
কেরলের পালক্করের বাসিন্দা নিমিশা নার্সের কাজ নিয়ে ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সঙ্গে গিয়েছিলেন স্বামী টমি থমাস ও মেয়ে। সেখানেই বসবাস করতেন। ২০১৪ য় স্বামী ও মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা থেকে যান ইয়েমেনে। সেখানে নিজের একটি ক্লিনিক খোলার ইচ্ছে ছিল তার।
পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা পায়নি নিমিশা। ২০১৭ র ২৫ শে জুলাই, মাহদি কে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। উদ্দেশ্য ছিল পাসপোর্ট ফিরে পাওয়া। কিন্তু সেই ওষুধ বেশি মাত্রায় হাওয়ায় মৃত্যু হয় মাহদির। হান্নান নামে এক সহকর্মীর সাহায্যে দেহ টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন যখন তখনই ধরা পড়ে যান। সেই থেকেই ইয়েমেনের জেলে বন্দী কেরলের ওই নার্স। পরিবার অনেক চেষ্টা করেও নিমিশা কে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিচারে খুনের অপরাধে ১৬ ই জুলাই তার ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সে দেশের আদালত। কেরলে শোকে দুঃখে ভেঙে পড়েছে নিমিশার মেয়ে ও পরিবার।