Upload By K. Halder at 19th March 2025, 07:41 PM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
এক সময় ছিল যখন ব্রিগেড মানেই ছিল ইতিহাস, ছিল ভবিষ্যৎ গড়ার শপথ।৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা দল মাত্র এক দশকের ব্যবধানে বিধানসভা এবং লোকসভায় শূন্য আসনে দাঁড়িয়ে বাম দলগুলি। রাজ্যসভায় রয়েছে কেবলমাত্র বিকাশ ভট্টাচার্যের একটি আসন, সেটিও মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলেছে। ফলে ব্রিগেড সমাবেশ আজ আর শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বামেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই।
রবিবার দুপুরে সেই ব্রিগেডেই সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএমের কৃষক, খেতমজুর ও শ্রমিক সংগঠন। এদিনের মুখ্য বক্তা বামফ্রন্টের পরিচিত নেতৃত্ব নন, বরং সংগঠনের মাঠের কর্মীরা। অনাদি সাহু, নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডুর মতো মুখ। তবে সবচেয়ে চর্চিত নাম ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তার বক্তব্য রাখা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে ভিড়ের দাবিতে মঞ্চে উঠে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না নেতারা।
এবারে মঞ্চে তৈরিতেও বদল এসেছে । ছোট হয়েছে দৈর্ঘ্যে, ফিরেছে পুরনো মুখ, ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকেই মুখ করা মঞ্চ। ৪৮ বাই ৩২ ফুটের এই মঞ্চে একদিকে বক্তা, চারদিকে থাকবে মাইক্রোফোন। তবে সত্যিই কি মাঠ ভরবে? দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন।
২০১১-র পর প্রতিটি নির্বাচনেই বামেরা ভোট মানচিত্রে ক্রমশ ফিকে হয়েছে। একের পর এক ব্রিগেড ভরলেও তা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়নি। তার মধ্যেই ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে নতুন করে আশার আলো জ্বালাতে চাইছে সিপিএম। কিন্তু ব্রিগেড ভরলেই যে অক্সিজেন মিলবে, সে উত্তর মেলেনি বিগত কোনো নির্বাচনেই।
তবু কালকের ব্রিগেডে বামেদের টার্গেট শাসক তৃনমূল ও বিজেপি। বলা হচ্ছে, দুই দলই ধর্মের নামে রাজনীতি করছে, মেহনতি মানুষের জীবনের প্রশ্ন আড়াল করে দিচ্ছে। তুলে ধরা হবে কৃষকের আত্মহত্যা, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, ফসলের ন্যায্য দামের অভাব, আরজি কর কাণ্ড, চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুর্দশার মতো বিষয়।
সমাবেশের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিপিএমের ডিজিটাল টিম। জঙ্গলমহল, চা-বাগান, উপকূল এলাকা, খনি অঞ্চল
সব জায়গা থেকেই শ্রমজীবী মানুষদের ব্রিগেডে আনার ডাক। আপনারাও আসুন স্লোগানে সাজানো শহর। কিন্তু শেষ কথা বলবে ভিড়ই। কারণ মাঠ যদি না ভরে, তবে শুধু মাইক আর ব্যানারে বামপন্থা ফিরবে না ভোট ব্যাঙ্ক ও ভরবে না।
এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই, বারবার হেরে যাওয়া, কোণঠাসা সিপিএম কি আদৌ নিজেদের সংগঠনের ভিত শক্ত করতে পারছে।