কল্যাণীতে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু কমপক্ষে চারজনের, জখম বহু

পীযূষ চক্রবর্তী,
ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। শুক্রবার দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকা ব্যাপক শব্দে কেঁপে ওঠে। গোটা এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় কারখানাটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে যান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কারখানার ভেতর থেকে জলসানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের উদ্ধার করে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা এখনও পর্যন্ত চার জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। মৃতদের মধ্যে দুজন মহিলাও রয়েছেন। ওই কারখানার ভিতরে আরও একাধিক শ্রমিক বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই রথতলা এলাকার ওই কারখানার ভেতরে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হতো। পুলিশের নাকের ডগায় বেআইনি বাজি কারখানাটি গড়ে উঠলেও প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল বলে এলাকার লোকজনের দাবি। এর আগে চম্পাহাটি, ভূপতিনগর সহ একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও তারপরও কোনও শিক্ষা নেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালে খাদিকুলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। ওই বছরেই বজবজেও একইভাবে মৃত্যু হয় তিন জনের। এছাড়াও, ইংরেজবাজার, নীলগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে বেআইনি বাজি কারখানা।
স্থানীয় বিধায়ক অম্বিকা রায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরকম কিছু ঘটনা ঘটলে, পুলিশ তখনই ব্যবস্থা নেয়।

12:05