বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
গোটা দ্বিতীয়ার্ধ দশজনে লড়াই করেও পারলো না ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরু এফসি সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার প্রথম ছয়ে শেষ করার স্বপ্ন শেষ লাল-হলুদ ব্রিগেডের। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র গোলটি করেন মেসি বোউলি। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ইস্টবেঙ্গল। ৬ মিনিটে মহেশের থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন দিমানতাকোস। তবে দক্ষতার সঙ্গে সেটি বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ১০ মিনিটে বিষ্ণুর শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। যদিও তার এক মিনিটের মধ্যেই গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। বল নিয়ে এগোনোর সময় বক্সের সামান্য বাইরে পড়ে গেলেও, সেখান থেকেই নিজেকে সামলে নিয়ে মেসি বোউলির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান সউল ক্রেসপো। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। ১৪ মিনিটে একটি গোলার মতো শট নেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তবে সেটি বাঁচিয়ে দেন প্রভসুখন গিল। ফিরতি বলে রোশন সিংয়ের শট গোল লাইন সেভ দেন আনোয়ার আলি। এরই মাঝে মহেশের শট গোলে ঢুকলেও দিমানতাকোস ওয়েবসাইট পজিশনে থাকায় অফসাইড পজিশনে থাকায় রেফারি সেটি অফসাইড দেন। ২৭ মিনিটে আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন বিষ্ণু। ম্যাচের ৩০ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আনোয়ার। মাঠে আসেন জিকসন সিং। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে দশজনে হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে হেড বাট দেওয়ায় লাল কার্ড দেখেন দিমানতাকোস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লাকড়ার পরিবর্তে মাঠে আসেন নিশু কুমার। ৬২ মিনিটে সৌভিকের দূরপাল্লার শট কোনওরকমে বাঁচান গুরপ্রীত। ৭৬ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা শিবশক্তির শট পোস্টে লেগে ফেরে। যদিও ফিরতি বলে প্রতি আক্রমণে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন ডেভিড। তবে তাঁর শট কোনওরকমে প্রতিহত করেন গুরপ্রীত। ৮০ মিনিটে জোভানোভিকের হেড ফের পোস্টে লাগে। একেবারে ৯০ মিনিটে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। নিশু কুমারের হ্যান্ড বলে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করে যান বেঙ্গালুরু এফসি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।
ড্র করে আইএসএল থেকে বিদায় ইস্ট বেঙ্গলের
