বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প ঘিরে আলোচনা।তবে তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। শহরের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসাথীর গুরুত্ব কিছুটা কম হলেও, গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল।
জবাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ২ কোটি ৪৪ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পে নথিভুক্ত। যার ফলে ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছেন। তিনি আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন, এবং এই খাতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৬৯৪.৬৪ কোটি টাকা। পূর্ববর্তী বছরগুলিতেও ব্যয় ধাপে ধাপে বেড়েছে— ২০২১-২২ সালে ২২৬৩ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ সালে ২৬৩০ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৯৪.৬৪ কোটি টাকা।
বর্তমানে ২৯১৪টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে নথিভুক্ত। তবে, বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী বিধায়করা এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এই প্রসঙ্গে, মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানান, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে একটি নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে, যেখানে ২৪x৭ অভিযোগ জানানো যায়। যদি কোনো নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে, তাহলে এই নম্বরে ফোন করলেই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পরিষেবা দিতে অনুরোধ করেছেন। কখনও নরমভাবে, কখনও কড়া ভাষায় তিনি পরিষেবা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোনো অভিযোগ না থাকলেও, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে যথাযথ পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
চলতি বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধায় নথিভুক্ত ২ কোটি ২৫ লাখ পরিবার
