Published By Subrata Halder on 16 April 2025 at 02:04 pm
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
জুলাই আন্দোলন ও তার পরবর্তী ঘটনায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগের অবস্থান। দলীয় নেতাদের মারধোর,নানা মামলায় জড়ানোর পাশাপাশি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চলেছে বিভিন্ন জায়গায়।রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠছে বারবার। কিন্তু বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসন ও তার পিছনে থাকা মৌলবাদীরা
বুঝতে পেরেছেন হাসিনার দল কে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে গেলে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়বে। আবার হাসিনার নেতৃত্বে অবাধ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা থাকছে। সে ক্ষেত্রে মৌলবাদীরা
তাদের মৌরসিপাট্টা হারাবে। তাই এবার চেষ্টা হচ্ছে মুজিবর কে যেমন খুন করা হয়েছিল পরিকল্পিত ভাবে, হাসিনা কেও রাজনৈতিক ভাবে হত্যা করার। তাই ভয় দেখিয়ে সাজি অনেককে দিয়ে হাসিনা হীন নতুন আওয়ামী লীগের পক্ষে সমর্থনের কথা বলা হচ্ছে। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি, সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাকে তিনি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে ‘নতুন একটি ষড়যন্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেন। একটি ফেসবুক পোস্টে হাসনাত অভিযোগ করেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজজামান একান্ত বৈঠকে তাদের বলেছেন যে প্রাক্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের মেনে নিতে হবে। কারণ তারা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা।
তবে একে চক্রান্ত বলেই মনে করছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকা দল। শেখ হাসিনা নিজে বারবার অডিও বার্তায় ও নানাভাবে বাংলাদেশে ফেরার বার্তা দিচ্ছেন।চক্রান্ত করে সরকার ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। যারা আওয়ামী লীগ নেতা,কর্মী ও দলের বিরুদ্ধে বেআইনি কাজ করছেন তাদের আইনের শাসনে এনে বিচার হবে বলেও বার্তা দিয়ে চলেছেন তিনি।পাশাপাশি জেলায় জেলায় ভার্চুয়াল মিটিং করছে দলীয় নেতৃত্ব। কোনও বিকল্প নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ফিরতে চাইছে আসল আওয়ামী লীগ। আর এই নিয়েই নতুন জটিলতা তৈরি হচ্ছে।