পীযূষ চক্রবর্তী
দত্তপুকুরে যুবক খুনের ঘটনায় মৃতের মুণ্ডু উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার হজরত লস্কর নামে খুন হওয়া ওই যুবকের মুণ্ডু উদ্ধার হয় বামনগাছি স্টেশন সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে। গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষীকান্তপুরের বাসিন্দা ওই যুবকের মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে ধৃতদের টানা জেরা করে পুলিশ খুনের রহস্যভেদ করেছে। নিহত হজরতের সঙ্গে সুফিয়ার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সুফিয়াদের বামনগাছির বাড়িতে হজরতের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। খুনের আগের রাতেও হজরত সুফিয়াদের বাড়িতে এসেছিলেন। সুফিয়ার স্বামী জলিল জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, স্ত্রী সুফিয়ার সঙ্গে হজরতের যৌনসম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি। একটা সময় সুফিয়াও ওই সম্পর্কের বিরোধীতা করেন। তবে হজরত জলিলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে নারাজ ছিলেন। যা নিয়ে বিরক্ত হয়ে জলিল খুনের পরিকল্পনা করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেবেন বলে সুফিয়া প্রতিশ্রুতি দেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, খুন ও তার পরবর্তী প্রমাণ লোপাটের গোটা ঘটনায় স্বামীকে সাহায্য করেছিলেন সুফিয়া। স্ত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন বলে খুনের পর হজরতের যৌনাঙ্গও কেটে ফেলেন জলিল।
দত্তপুকুর কাণ্ডে মৃতের মুণ্ডু উদ্ধার
